TMC

পলাতক দিবাকর, ধৃত তৃণমূল কর্মাধ্যক্ষ   

বৃহস্পতিবার কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মানব সম্পদ দফতরের আধিকারিক সিদ্ধার্থ ঘোষকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:৪০
Share:

ধৃত গৌরহরি মাঝি।

মূল দুই অভিযুক্ত অধরা। তবে কোলাঘাট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধিকারিককে মারধরে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন এক তৃণমূল নেতা। এফআইআরে‌ তাঁর নামের উল্লেখ ছিল না। তবে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে আধিকারিককে মারধর করে মারাত্মভাবে জখম করা, সরকারি কাজে বাধা দান এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মানব সম্পদ দফতরের আধিকারিক সিদ্ধার্থ ঘোষকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় তাপবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কোলাঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে তাঁরা অভিযোগের তির তোলেন দিবাকর, শান্তিপুর-১ পঞ্চায়েতের প্রধান সেলিম আলি, অসিত চক্রবর্তী এবং অন্যদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই অন্য অভিযুক্ত হিসাবেই গৌরহরিকে ধরা হয়েছে।

পুলিশ দিবাকর, সেলিম-সহ অন্য অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি শুরু করে। রাতেই দিবাকরের সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালানো হয়। গভীর রাতে তমলুকের ডিমারি বাজার থেকে দিবাকরের ঘনিষ্ঠ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ গৌরহরি মাজিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ডিমারি বাজারের অদূরেই গৌরহরির বাড়ি। পুলিশ জানিয়েছে, ডিমারি বাজারে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানস্থলের কাছাকাছিই ছিলেন গৌরহরি। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, ওই ঘটনার সঙ্গে গৌরহরি জড়িত।

Advertisement

গৌরহরিকে বৃহস্পতিবার রাতে তমলুক থানায় রাখা হয়। শুক্রবার গৌরহরিকে তমলুক আদালতে তোলা হয়। সে সময় গৌরহরি বলে, ‘‘এই গন্ডগোলের সঙ্গে যুক্ত নই। আমি নির্দোষ।’’ বিচারক গৌরহরির ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী সোমবার তাঁর টিআই প্যারেড করার ব্যাপারে আদালতে আবেদেন করেছে পুলিশ। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, দিবাকর এবং সেলিমকে ধরতেও তল্লাশি চালছে। বৃহস্পতিবার রাতেই জেলা প্রশাসন দিবাকর জানার কাছে থাকা বন্দুকের লাইসেন্স বাতিল করে সেটি থানায় জমার নির্দেশ দেয়। প্রশাসনের ওই নির্দেশের পর এ দিন বিকালে দিবাকরের স্ত্রী তথা জেলা পরিষদ সদস্যা তনুশ্রী জানা তমলুক থানায় গিয়ে বন্দুকটি জমা দিতে যান। কিন্তু যাঁর নামে লাইসেন্স রয়েছে, তিনি বন্দুক জমা দিতে না আসায় পুলিশ সেটি জমা নেয়নি।

জেলার পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement