সেখ আব্দুর রশিদ। নিজস্ব চিত্র।
মোবাইল চুরির ঘটনার জেরে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল হলদিয়ার ভবানীপুর থানা এলাকায়। মৃত যুবককে নিজেদের দলের কর্মী বলে দাবি করেছে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি তুলছেন স্থানীয়রা। ভবানীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
মৃতের নাম সেখ আব্দুর রশিদ (২৪)। মৃতের স্ত্রীর রামুনা বিবি জানিয়েছেন, একটি মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কিছু যুবক তাঁর স্বামীকে আগেও হেনস্থা করেছিল। রবিবার সন্ধ্যায় সেই একই ঘটনা নিয়ে আবারও তাঁর স্বামীকে ধরে তারা। কথা কাটাকাটির পর বেধড়ক মারধর করা হয় রশিদকে।
এর পর রশিদকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে পালায় অভিযুক্তরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন রসিদের স্ত্রী সহ আরও কয়েকজন। স্ত্রীকে কয়েকজনের নাম জানান রশিদ। ঘটনাস্থল থেকে রশিদকে উদ্ধার করে প্রথমে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতাল ও পরে তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও রবিবার রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। মৃতের বাড়ির কাছে জড়ো হন তাঁরা। পরে ভবানীপুর থানায় লিখিত অভযোগও দায়ের করা হয় মৃতের পরিবারের তরফ থেকে।
ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়ে গিয়েছে। মৃত যুবককে নিজের দলের কর্মী বলে দাবী করেছেন হলদিয়া টাউন যুব তৃণমূলের সভাপতি আজগর আলী। তিনি জানান, রশিদ তাঁদের অনুগামী ছিলেন। এলাকার যুব তৃণমূলের সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন রসিদ। গোটা ঘটনার তদন্ত চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনিও।
ভবানীপুর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। মৃতদেহের ময়না তদন্তের পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।