পড়ে রয়েছে অজস্র সাইকেল। নিজস্ব চিত্র
রাস্তার ধারে অবহেলায় পড়ে রোদে-জলে বিবর্ণ হচ্ছে কয়েকশো সাইকেল এবং মোটর সাইকেল। একইসঙ্গে বিবর্ণ হচ্ছে যানগুলির চাকায় জড়িয়ে থাকা দেশ জোড়া লকডাউনের স্মৃতিও।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতনে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে স্তূপাকারে পড়ে ওই সব সাইকেল এবং মোটর সাইকেলগুলি। কেন? স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছেই তার উত্তর মিলল। তাঁরা জানালেন, গত বছর ২৪ মার্চ মধ্যরাত থেকে লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তার পর দিন থেকেই আক্ষরিক অর্থেই ‘অচল’ হয়ে পড়ে গোটা দেশ। সে সময় ভিন্রাজ্যে থাকা অনেকেই সাইকেল বা মোটর সাইকেল কিনে রওনা দিয়েছিলেন নিজের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, তামিলনাড়ু, দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা সেই সব পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেককেই থামতে হয়েছিল এ রাজ্যে প্রবেশের মুখে ওড়িশা-পশ্চিম মেদিনীপুর সীমানায় অবস্থিত সোনাকোনিয়া এলাকায়। কারণ সেখানেই চলছিল নাকা চেকিং।
অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে বহু মোটর সাইকেলও। নিজস্ব চিত্র
সোনাকোনিয়ায় ভিন্রাজ্য থেকে ওই সব শ্রমিকদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার পাশাপাশি কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থাও করে জেলা প্রশাসন। পরীক্ষায় যাঁদের নেগেটিভ ফল মিলেছিল তাঁদের বিভিন্ন জেলায় নিজেদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করে রাজ্য সরকার। সেই সময়েই যাঁরা সাইকেল এবং মোটর সাইকেলে চড়ে রাজ্যে প্রবেশ করেছিলেন তাঁদের যানগুলি রেখে দেওয়া হয় সোনাকোনিয়া এলাকা, ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে।
জাতীয় সড়কের ধারে পড়ে সাইকেল ও মোটর সাইকেল। নিজস্ব চিত্র
শ্রমিকদের অনেকে পরে ফিরে এসে উপযুক্ত কাগজপত্র দেখিয়ে নিজেদের সাইকেল এবং মোটরসাইকেল নিয়ে গিয়েছেন বটে। তবে এখনও বহু যান পড়ে রয়েছে অনাদরে। এ বিষয়ে খড়গপুরের মহকুমা শাসক আজমল হোসেন বলেন, ‘‘ওখানে সাইকেল বা মোটর বাইক কী পড়ে রয়েছে তা খোঁজ খবর নিচ্ছি।’’