দিঘার সৈকতে উদ্ধার অক্টোপাস।
মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ল তিনটি অক্টোপাস এবং দু’টি শঙ্কর মাছ। এদের মধ্যে একটি অক্টোপাস এবং একটি শঙ্কর মাছ আকারে বিশাল। যা দেখতে দিঘা মোহনায় শুক্রবার ভিড় করেন মৎস্যজীবীরা।
মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, দিঘা সংলগ্ন খাদালগোবরা গ্রামের এক মৎস্যজীবীর জালে প্রথম অক্টোপাসটি ধরা পড়ে। সে সময় অক্টোপাসটি জীবিত ছিল। তাই সেটিকে সৈকতে এনে ‘দিঘা মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম’ কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়। অ্যাকোয়ারিয়াম থেকে প্রতিনিধিরা এসে জীবিত অক্টোপাসটিকে নিয়ে যান। আপাতত সেটিকে অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখা হয়েছে। কয়েক দিন আগেই আরও দু’টি অক্টোপাস মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়েছিল। সেগুলিও অ্যাকোয়ারিয়াম কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করেছেন।
‘দিঘা মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ামে’র আধিকারিক প্রসাদচন্দ্র টুডু বলেন, “প্রথম অক্টোপাসটির ওজন প্রায় এক কিলোগ্রাম। এগুলি সিফালোপড প্রজাতির। সাধারণত এই অক্টোপাস এক বছর বাঁচে। ভারত এবং প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে এদের বেশি দেখা মেলে। এরা কাঁকড়া আর চিংড়ি খেতে খুব ভালবাসে।’’ মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম সূত্রের খবর, সমুদ্রে প্রায় ২০০ প্রজাতির অক্টোপাস থাকে। এই সিফালোপড প্রজাতির পুরুষ অক্টোপাস শুঁড়ে করে শুক্রাণু বয়ে নিয়ে গিয়ে স্ত্রী অক্টোপাসের শরীরে প্রবেশ করানোর পরেই তার মৃত্যু হয়। আর স্ত্রী অক্টোপাস এক সঙ্গে প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে বাচ্চা বেরিয়ে আসার কিছু দিন পরেই মা অক্টোপাসেরও মৃত্যু হয়। তবে কাউকে শিকার করার সময় এদের শুঁড় থেকে বেরিয়ে আসে নিউরো টক্সিন। যা দিয়ে তারা শিকারকে অবশ করে।
দিঘায় উদ্ধার শঙ্কর মাছ।
এ দিন সকালে দিঘা মোহনায় দু’টি বিশাল আকৃতির শঙ্কর মাছ বিক্রির জন্য আনা হয়। বড় মাছটি ওজন প্রায় ৩০০ কিলোগ্রাম। সেটি ধরা পড়েছে দিঘার মৎস্যজীবী ভুবন বেরার ট্রলারে। ভুবন বলেন, “মাছটি একটি বেসরকারি সংস্থা ৪৫ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছে।’’ ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকেও একটি বড় শঙ্কর মাছ এ দিন দিঘা মোহনায় আনা হয়। মোহনার এক মৎস্য আড়তে মাছটি নিলাম করা হয়। ঋষিকেশ শ্যামল নামে এক ব্যক্তি মাছটি ৩৩ হাজার টাকায় কিনে নেন। ওই মাছটির ওজন প্রায় ২৫০ কিলোগ্রাম।