Moyna BJP leader murder

ময়নায় বিজেপি নেতা খুনে ধৃত আরও দুই তৃণমূলকর্মী, আগেই গ্রেফতার হয়েছেন দলের পঞ্চায়েত সদস্য

পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত বিজেপি নেতা যে গ্রামের বাসিন্দা, বাকচার গ্রাম পঞ্চায়েতের সেই গোড়ামহল গ্রামেই থাকেন দুই ধৃত। রবিবার তাঁদের তমলুক আদালতে হাজির করানো হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ময়না শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৩ ১৯:২৪
Share:

শনিবার বেলার দিকে অভিযুক্ত দুই তৃণমূল কর্মী নন্দন মণ্ডল এবং সুজয় মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।

পূর্ব মেদিনীপুরে ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের পাকড়াও করতে তমলুক এসডিপিও-র নেতৃত্বে শুরু হয়েছে জোরদার পুলিশি অভিযান। ওই ঘটনায় শনিবার বেলার দিকে অভিযুক্ত দুই তৃণমূল কর্মী নন্দন মণ্ডল এবং সুজয় মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত বিজেপি নেতা যে গ্রামের বাসিন্দা, বাকচার গ্রাম পঞ্চায়েতের সেই গোড়ামহল গ্রামেই থাকেন দুই ধৃত। রবিবার তাঁদের তমলুক আদালতে হাজির করানো হবে।

Advertisement

গত সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ বিজয়কৃষ্ণকে তাঁর স্ত্রী ও ছেলের সামনে থেকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায় এক দল দুষ্কৃতী। অভিযোগ, তাঁদের বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন বিজয়ের স্ত্রী লক্ষ্মী ও ছেলে সুরজিৎও। পরে বিজয়ের রক্তাক্ত দেহ বাড়ির অদূরে পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার হয়। এই ঘটনার বিজয়ের স্ত্রী ময়না থানায় ৩৪ জন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুরু হয়েছে ধরপাকড়। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার গ্রেফতার হওয়া দুই তৃণমূলকর্মী স্থানীয় একটি ইটভাটায় গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাঁদের পাকড়াও করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার এই মামলায় গোড়ামহল গ্রামের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মিলন ভৌমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে বিজয়কৃষ্ণ খুনে গ্রেফতার হলেন মোট তিন জন।

অভিযুক্ত ৩৪ জনের মধ্যে কেন মাত্র ৩ জন গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, মূল অভিযুক্তেরা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছেন এলাকায়। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি আশিস মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনের ঘটনায় সিবিআইয়ের তদন্ত দাবি করছি। কারণ, এখন পর্যন্ত মাত্র ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ, এই ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্তেরা এখনও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাকচা অঞ্চল জুড়ে তারা তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। বাকচাকে অশান্ত করে রেখেছে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী। ওদের গ্রেফতার করা না হলে এলাকার মানুষের আতঙ্ক কাটবে না। এই বাকচাকে শান্ত করতে অবিলম্বে এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানাচ্ছি।’’

Advertisement

তৃণমূলের পাল্টা দাবি, শনিবার গ্রামে একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ময়নার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সংগ্রাম দোলুই বলেন, “বিজয়কৃষ্ণ মোটেও ভাল লোক ছিলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে এসডিপিও-র গাড়িতে বোমা মারার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর বাড়ির পাশ থেকে বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার হয়েছিল। বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই বিজয়কৃষ্ণ খুন হয়েছেন বলে আমরা জেনেছি। অথচ, সেই ঘটনায় একের পর এক তৃণমূল নেতা-কর্মীকে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে তৃণমূলের লোকজনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হচ্ছে। মানুষ নিশ্চয়ই এর জবাব দেবেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement