প্রতীকী চিত্র।
নাবালিকা অপহরণের দু’টি পৃথক ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে দুই নাবালিকাও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পটাশপুর থানার সারদাবাড় গ্রামের বছর যোলোর এক কিশোরী গত ৩ জুলাই টিউশন পড়তে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। ৪ জুলাই তার মা মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। নাবালিকার পরিবারের দাবি, থানায় অভিযোগ করার পর ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। ফোনে বলা হয় পটাশপুরের সজল বেরা নামে এক যুবকের হাতে মুক্তিপণের টাকা দিতে হবে। যে নম্বর মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করা হয়েছিল তা পুলিশকে জানান কিশোরীর পরিবার। ফোনের সূত্র ধরে তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পারে নাবালিকা রাজস্থানে রয়েছে।
পটাশপুর থানার পুলিশের একটি দল রাজস্থানে যায়। কিন্তু তারা পৌঁছনোর আগেই সেখান থেকে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায় পঞ্জাবের অমৃতসরে। পুলিশ সেখানেও যায়। কিন্তু তার আগে সেখান থেকে পালায় তারা। চলে আসে পটাশপুরে। গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে ওই নাবালিকাকে বাল্যগোবিন্দপুরে অপহরণকারীর মাসির বাড়িতে রাখা হয়েছে। ১০ জুলাই রাতে সেখানে হানা দিয়ে নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু অপহরণকারী পালিয়ে যায়। ১১ জুলাই কাঁথি আদালতের বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দেয় নাবালিকা। তবে হাল ছাড়েনি পুলিশ। অপহরণকারীর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখে বৃহস্পতিবার পটাশপুরের খড়াইমোড় থেকে মহাদেব বেরা নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় আর এক অভিযুক্ত সজল মাইতির খোঁজে তল্লাশি চলছে।
রামনগর থানার দুর্গাপুর গ্রামের এক নাবালিকা গত ১০ জুন জুনপুটের কাছে ভণ্ডুবসান গ্রামে তার মামারবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুঁজির পর তার দাদু জুনপুট উপকূল থানায় ১২ জুন নাতনিকে অপহরণের অভিযোগ করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে রামনগর থানার দক্ষিণ করঞ্জি গ্রামের এক যুবক ওই কিশোরীকে নিয়ে ওডিশায় পালিয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক দক্ষিণ করঞ্জি গ্রামে বাড়িতে ফিরেছে। ওই রাতেই হানা দিয়ে তাকে গ্রেফতার ও নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সুব্রত জানা। শুক্রবার ধৃত মহাদেব বেরা ও সুব্রত জানাকে কাঁথি আদালতে তোলে হলে বিচারক দু’জনকেই ১৪ দিন জেলা হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।