Lakshmi Bhandar Scheme

লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা মদেও! নেত্রীর মন্তব্য ঘিরে শুরু বিতর্ক

‘মদ হটাও, মাতাল হটাও, মহিলাদের সম্মান বাঁচাও’— এই স্লোগান সামনে রেখে বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া ১ ব্লকের গাড়াফুসড় গ্রামের স্বনির্ভর দলের কয়েকশো মহিলা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে গ্রামে মিছিল করেন। একটি চোলাইয়ের ঠেকে গিয়ে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৪৯
Share:

প্রতিবাদীদের মিছিল পুরুলিয়ার গাড়াফুসড় গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’র টাকায় রাজ্যে মহিলাদের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য এসেছে। তবে স্ত্রীর থেকে সেই টাকা নিয়ে কোনও কোনও পুরুষ চোলাই খাচ্ছেন, এমনই অভিযোগ তুললেন পুরুলিয়ার এক তৃণমূল নেত্রী। তা নিয়ে কটাক্ষ করছেন বিজেপি নেতৃত্বও।

Advertisement

‘মদ হটাও, মাতাল হটাও, মহিলাদের সম্মান বাঁচাও’— এই স্লোগান সামনে রেখে বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া ১ ব্লকের গাড়াফুসড় গ্রামের স্বনির্ভর দলের কয়েকশো মহিলা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে গ্রামে মিছিল করেন। একটি চোলাইয়ের ঠেকে গিয়ে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা।

ওই গ্রামেই বাড়ি পুরুলিয়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ্মাবতী মাহাতোর। তিনি বলেন, “চোলাই বিক্রির জন্য সংসারে অশান্তি চলছে বলে গ্রামের মহিলারা আমাকে কয়েক দিন আগে জানিয়েছিলেন। মদ খেতে স্বামীরা লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকাতেও ভাগ বসাচ্ছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। কিছু বহিরাগত গ্রামে মদ বিক্রি করছেন। আমি বিষয়টি প্রশাসন ও আবগারি দফতরকে দেখতে বলব।” আন্দোলনে থাকা এক মহিলারও দাবি, “লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বাক্সে রাখা হলেও স্বামীরা তালা ভেঙে সেই টাকা নিয়ে মদ খেতে নিয়ে যায়।” আন্দোলনকারীদের পাশে থাকা ‘ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি’-র পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক মধুসূদন মাহাতো বলেন, “লক্ষ্মীর ভান্ডার মহিলাদের নিজস্ব অধিকার। নেশার জন্য সেই টাকাতেও ভাগ বসাচ্ছে কেউ কেউ! অবিলম্বে চোলাইয়ের ঠেক বন্ধ করা হোক।”

Advertisement

‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ চালুর সময়ে বিজেপি নেতৃত্ব অভিযোগ করেছিলেন, ওই টাকায় মদ বিক্রি বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়াতে চায় রাজ্য সরকার। পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো বলেন, “মায়েরা এ রকম লক্ষ্মীর ভান্ডার চান না, মদ খেতে যে টাকায় ভাগ বসানো হয়। তাঁরা সংসারে শান্তি চান।” গাড়াফুসড় গ্রামের বাসিন্দা প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের রাজ্য নেতা শান্তিরাম মাহাতোর পাল্টা জবাব, “লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সাফল্য দেখে বিজেপির গাত্রদাহ হচ্ছে। প্রকল্পের টাকা যদি দু’-এক জন কখনও-সখনও অন্য ভাবে খরচ করেন, তার জন্য সমগ্র প্রকল্পের দিকে আঙুল তোলা যায় না।”

প্রতিবাদে শামিল অষ্টমী মাহাতো, সুনীতা মাহাতো, বাসন্তী মাহাতোরা বলছেন, “সংসার চালানো দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে বলেই গ্রামে মদ বিক্রি বন্ধ করতে পথে নেমেছি।” পুরুলিয়া জেলা আবগারি দফতরের সহকারী কমিশনার শুভেন্দু বর্মণের দাবি, “বিভিন্ন গ্রামে অবৈধ মদের ঠেকের বিরুদ্ধে রোজ অভিযান চালাচ্ছি। ওই এলাকা নিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement