নিজস্ব চিত্র
অক্সিজেন সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হল কলকাতার চেতলা অগ্রণী ক্লাব। 'দুয়ারে অক্সিজেন' নামে একটি পরিষেবা চালু করেছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এই পরিষেবার মাধ্যমে যেসব কোভিড রোগীর অক্সিজেন দরকার, তাঁদের বাড়িতে বিনামূল্যে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর পৌঁছে দেবেন ক্লাবের সদস্যরা। বুধবার চেতলায় এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন পরিবহণ মন্ত্রী তথা ওই ক্লাবের সভাপতি ফিরহাদ হাকিম।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি নিয়ে এসেছিল রাজ্য সরকার। ওই কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। তার সুফলও ভোট বাক্সে পেয়েছে তৃণমূল। এ বার 'দুয়ারে অক্সিজেন' নাম দিয়ে নিজেদের নতুন পরিষেবা চালু করেছে চেতলা অগ্রণী ক্লাব। এই পরিষেবার মাধ্যমে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের কাছে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর পৌঁছে দেবেন ওই ক্লাবের সদস্যরা। এর জন্য দুটি ফোন নম্বর চালু করেছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ফোন নম্বর দুটি হল ৯৮৩১১০৪৬৫৬ ও ৭০০৩৮৬৮৪১৪। এই নম্বর দু'টিতে ফোন করে অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের জন্য আবেদন করা যাবে।
ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আপাতত ২০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর নিয়ে এই পরিষেবা চালু করা হয়েছে। একটি কনসেনট্রেটরের দাম প্রায় এক লক্ষের কাছাকাছি। একটি বাড়িতে কোনও রোগীর জন্য ১০ দিন পর্যন্ত এই অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রাখা যাবে। ১০ দিন পর ক্লাব কর্তৃপক্ষকে ফের তা ফেরৎ দিতে হবে। এ নিয়ে ক্লাব সভাপতি ফিরহাদ বলেন, "চেতলা অগ্রণী ক্লাবের তরফ থেকে অক্সিজেন ২০টি কনসেনট্রেটর জোগাড় করা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আমরা গাড়িতে অক্সিজেন পৌঁছে দিয়ে আসব। এই কাজ আমাদের ক্লাবের সদস্যরা করবেন।"
কনসেনট্রেটরের সংখ্যা কম থাকায় সব জায়গায় এই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। তাঁর কথায়, "আমাদের কাছে কম সংখ্যক কনসেনট্রেটর রয়েছে। তাই কলকাতার সব এলাকায় এই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। এখন শুধুমাত্র ক্লাবের আশপাশের এলাকায় এই পরিষেবা দেওয়া হবে। তবে আমি কলকাতার সব ক্লাবের কাছে অনুরোধ করব তারাও যেন এই ভাবে উদ্যোগী হন।"
রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন ক্রমশ বাড়ছে। চিকিৎসার জন্য পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত অক্সিজেন। আবার অক্সিজেন কোথায় পাওয়া গেলেও তা রোগীর পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হচ্ছে অনেক রোগীর। অক্সিজেন কনসেনট্রেটর অবশ্য সেদিক কিছুটা সহজতর। এখানে কোনও সিলিন্ডারের প্রয়োজন হয় না। ঝামেলা নেই সিলিন্ডার খালি বা ভর্তি করার। শুধুমাত্র কনসেনট্রেটরকে ঘরের একটি জায়গায় বসিয়ে দিলেই জল থেকে অক্সিজেন তৈরি করে। ফলে এই সহজ পদ্ধতিটি বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এই মেশিনটির খরচ অনেক বেশি।