bar association

বার কাউন্সিলে বেসুর মাত্র চার, বৈঠক কাল

পশ্চিমবঙ্গ বার কাউন্সিল হল রাজ্যের আইনজীবীদের নির্বাচিত সর্বোচ্চ সংগঠন। নির্বাচনের মাধ্যমেই তার সদস্য হওয়া যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২১ ০৭:১১
Share:

কলকাতা হাই কোর্ট ফাইল চিত্র

কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের অপসারণ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্য বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক অশোককুমার দেব। কিন্তু সেই চিঠি কাউন্সিলের সার্বিক মত নয় বলে দেশের প্রধান বিচারপতিকে পাল্টা চিঠি দিয়েছেন কাউন্সিলেরই চার সদস্য। তাঁদের বক্তব্য, কোনও সভা না-ডেকে চেয়ারম্যান এ ভাবে চিঠি দিতে পারেন না।

Advertisement

আইন শিবির সূত্রের খবর, কাল, শনিবার বিকেলে বার কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে এই বিষয়ে বিতর্ক হতে পারে। তবে কাউন্সিলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য রাজ্যের শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় বিতর্ক কত দূর গড়াবে, সেই ব্যাপারে অনেকেরই সংশয় রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বার কাউন্সিল হল রাজ্যের আইনজীবীদের নির্বাচিত সর্বোচ্চ সংগঠন। নির্বাচনের মাধ্যমেই তার সদস্য হওয়া যায়। সেই সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের লোকজন আছেন। তবে কাউন্সিল সূত্রের খবর, কাউন্সিলে বর্তমানে রাজ্যের শাসক দলের ঘনিষ্ঠদেরই সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। চেয়ারম্যান অশোকবাবু দীর্ঘদিনের তৃণমূল বিধায়ক। সদস্য হিসেবে রয়েছেন তৃণমূলের দুই পরিচিত নেতা শুভাশিস চক্রবর্তী এবং বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ও। অন্যতম সদস্য হিসেবে রয়েছেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত। তবে কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপি মনোভাবাপন্ন সদস্যেরাও রয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে বিরোধী সদস্যেরা সমস্বরে অশোকবাবুর ওই চিঠির বিরোধিতা করছেন না কেন?

অশোকবাবুর চিঠির বিরুদ্ধে পাঠানো প্রতিবাদপত্রে অন্যতম স্বাক্ষরকারী কাউন্সিল সদস্য মিহির দাস বলছেন, “কে কেন বলছেন না, সেটা বলতে পারব না। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে, বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের ওই চিঠি দেওয়া অনৈতিক। সভা না-করে এমন চিঠি দেওয়ার অর্থ, তিনি ব্যক্তিগত মতামত পোষণ করেছেন।” মিহিরবাবুর বক্তব্য, সভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য যদি চিঠির পক্ষে মত দিতেন, তা হলে সেটাই হত। কিন্তু সে-ক্ষেত্রে বিরুদ্ধ মতামতও শোনা হত। প্রসঙ্গত, মিহিরবাবু বাম-সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তবে প্রতিবাদপত্রে বিজেপি-ঘনিষ্ঠ আইনজীবীও স্বাক্ষর করেছেন।

Advertisement

বার কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, চেয়ারম্যান অনৈতিক কাজ করেননি। তিনি সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই চিঠিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিতর্ক হচ্ছে। বৈশ্বানরবাবুর বক্তব্য, অশোকবাবু বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার সদস্য। তিনি বার কাউন্সিলের দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান। তিনি নিয়ম জানবেন না, এমনটা নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement