রবিবারের সভা ঘিরে সমতল থেকে পাহাড়ে মোর্চা সমর্থকদের উচ্ছ্বাস। দার্জিলিং থেকে সমর্থকেরা দলে দলে আসছেন শিলিগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র
মালদহে রেল অবরোধের কারণে আটকে পড়েছিলেন। তারপর গাড়িতে করে শিলিগুড়িতে পৌঁছে গেলেন বিমল গুরুং। শিলিগুড়ির গাঁধী ময়দানে আজ, রবিবার আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সভা শুরু করতে চলেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রধান। এই সভা ঘিরে তেতে উঠেছে সমতল। রবিবার সকাল থেকেই সভাস্থলে বিমল-অনুগামীদের ভিড় দেখা যাচ্ছিল। বেলা বাড়তে ভিড় বাড়ে আরও। সাড়ে তিন বছর বাদে পাহাড়ে ফিরে রবিবার নিজের শক্তির পরীক্ষা দেবেন বিমল। তারই প্রস্তুতি রয়েছে চরমে। সকাল থেকে দার্জিলিং-সহ অন্য অঞ্চল থেকে গাড়ি করে গুরুংপন্থীদের নেমে আসতে দেখা যায়।
রবিবারে সভায় কী বলবেন গুরুং? সম্প্রতি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছিলেন। রবিবার সভা থেকে সেই কথাই ফের শোনা যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। শনিবার ছিল গুরুংয়ের সভার প্রস্তুতি পর্ব। সেই প্রস্তুতি পর্বে দেখা যায় বিমলপন্থী নেতা রোশন গিরিকে। তিনি প্রায় সারাদিনই শিলিগুড়ির সভাস্থলে ছিলেন। সেখানে পুরো ব্যবস্থা তিনি খতিয়ে দেখেন।
শনিবার রাতেই শিলিগুড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিমল গুরুং। সেখানে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সম্প্রতি কলকাতায় আচমকা আত্মপ্রকাশ করে বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ জানান তিনি। অবস্থান পাল্টে তাঁকে দাঁড়াতে দেখা যায় তৃণমূলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে। বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে একসঙ্গে লড়াই করার কথা বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বারাণসীতে মোদীর গড়ে ধাক্কা বিজেপির, বিধান পরিষদের ২ আসনেই এসপি-র জয়
সম্প্রতি মোর্চার গুরুংপন্থী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিনয় তামাং, অনীত থাপারা পাহাড়কে ধ্বংস করেছে। বিমল ফিরলেই পাহাড়ে উন্নয়ন হবে।’’ শুধু বিজোপি বিরোধিতা বা তৃণমূলকে সমর্থনই নয়, পাহাড়ে ক্ষমতা দখলের রোডম্যাপও শনিবারের সভা থেকেই তৈরি হতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন: ভারতে জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন ফাইজারের, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের উপর ছাড়ের দাবি