বজবজের ভাগাড় থেকে বাজেয়াপ্ত মাংস পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়েছিল রাজ্য সিআইডি। প্রতীকী ছবি।
মাংস এতটাই পচা যে পরীক্ষা করাই সম্ভব নয়। তাই মাংস নিয়ে আর কোনও রিপোর্টই দিতে পারল না রাজ্য ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি। ভাগাড়-কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর বজবজের ভাগাড় থেকে বাজেয়াপ্ত মাংস পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল রাজ্য সিআইডি।
বুধবার আলিপুর আদালতে সিআইডির পক্ষ থেকে সরকারি আইনজীবী নবকুমার ঘোষ ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির রিপোর্ট বিচারকের কাছে জমা দেন। সেই রিপোর্ট উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, “বজবজে বাজেয়াপ্ত মাংস দুর্গন্ধযুক্ত। এতটাই পচা যে সেই মাংস পরীক্ষার অযোগ্য। এই মাংস কোনও ধরনের খাদ্য হতে পারে না।”
এ দিন ভাগাড়-কাণ্ডে ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। প্রায় ৭০ দিন তাঁরা পুলিশ ও জেল হেফাজতে রয়েছেন। সিআইডি ধৃতদের জামিনের বিরোধিতা করে। নবকুমার ঘোষ বলেন, “ধৃতদের জামিন দিলে তারা পালিয়ে যেতে পারে। এখনও এই চক্রের পুরো বিস্তার সম্পর্কে জানতে তদন্ত প্রয়োজন। ধৃতেরা পালিয়ে গেলে সেই তদন্ত বিঘ্নিত হবে। এই পচা মাংস বিক্রি একটা মারাত্মক অপরাধ এবং সমাজের উপর এর যথেষ্ট খারাপ প্রভাব পড়েছে।”
আরও পড়ুন
চিট ফান্ড: রাজ্যের ১৬ জায়গায় সিবিআই তল্লাশি
আদালতে সিআইডির পক্ষ থেকে ধৃতদের কার কী ভূমিকা ছিল তা জানানো হয়। কল্যাণীর গয়েশপুরের প্রাক্তন সিপিএম নেতা মানিক মুখোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদি ও গ্রামোদ্যোগ দফতরের জমি ব্যবহার করে এই ব্যবসা চালাত। সিআইডি জানিয়েছে, ওই জমিতে সরাফত হোসেন মরা পশু নিয়ে আসত। তার পর মানিকের লোকজন সেই পশুর মাংস কুচি কুচি করে কাটত। কাটা মাংস সাইমন্ডস তাঁর ট্যাক্সিতে করে নিয়ে যেত নারকেলডাঙার কাছে কোল্ড স্টোরেজে পাঠানোর জন্য।
আরও পড়ুন
উত্তরবঙ্গে দাপিয়ে ব্যাটিং করবে বর্ষার, দক্ষিণে প্রভাব কমবে!
মহম্মদ ইয়াসিন, মহম্মদ চাঁদ বা ফিরোজ-রা এই মাংস সংগ্রহ করে ভ্যানে করে নিয়ে যেত বিশু মল্লিকের ভাড়া করা হিমঘরে। সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নারকেলডাঙার হিমঘরে উদ্ধার মাংসর পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও দেয়নি ফরেন্সিক দফতর।