বারবার ডেকে পাঠানো সত্ত্বেও তিনি এখনও তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দিতে পারেননি। কেননা এত দিন লন্ডনে ছিলেন মেয়র ও মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্নাদেবী। তিনি অবশেষে কলকাতায় ফিরেছেন বলে পারিবারিক সূত্রের খবর। নভেম্বরেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র জেরার মুখোমুখি হতে চলেছেন তিনি।
নারদ স্টিং অপারেশনে যাঁদের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, শোভনবাবু তাঁদের অন্যতম। ভিডিও ফুটেজে ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে তাঁকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। তার তদন্তে নেমে মেয়রকে তলব করেছিল ইডি। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তিনি জানান, তাঁর টাকাপয়সার যাবতীয় হিসেব দেখেন স্ত্রী রত্নাদেবী। সেই জন্যই মেয়র-ঘরনিকেও প্রশ্ন করার সিদ্ধান্ত নেন তদন্তকারীরা।
তত দিনে রত্নাদেবী চিকিৎসার জন্য লন্ডন চলে গিয়েছেন। সেখানেই ই-মেল মারফত নোটিস পাঠিয়ে তাঁকে তলব করে ইডি। কিন্তু তিন-তিন বার নোটিস পেয়েও তিনি আসেননি। মেয়র-পত্নী লন্ডনে থাকাকালীন তাঁর আয়-ব্যয় নিয়ে তদন্তে নামে আয়কর দফতরও। লন্ডনে অবস্থানকালেই ফোনে রত্নাদেবী জানিয়েছিলেন, ব্যস্ততার কারণে মেয়র টাকাপয়সার হিসেব রাখতে পারেন না বলে তাঁকেই সব দেখভাল করতে হয়। তা ছাড়া রত্নাদেবী নিজেও ব্যবসা করেন এবং তা সৎ ভাবে করেন। নারদ-কাণ্ডের তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন রত্নাদেবী। মঙ্গলবার তিনি কলকাতায় ফিরেছেন।
ইডি সূত্রের খবর, রত্নাদেবী নিজে নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্ত নন। তাই বারবার নোটিস পাঠানোর পরেও হাজিরা না-দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শেষ পাঠানো নোটিস অনুযায়ী ২৮ নভেম্বর সল্টলেকে ইডি দফতরে তাঁর হাজির হওয়ার কথা। কলকাতায় ফিরে আসায় মেয়রের স্ত্রী এ বার ইডি-র সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন গোয়েন্দারা।