শোভন চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
তাঁর যাবতীয় সম্পত্তির হিসেব ইডি-কে দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিলেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। নারদ কাণ্ডে জেরা করার জন্য গত বুধবার ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) নোটিস পাঠায় শোভনবাবুকে। আগামী সোমবার তাঁকে ইডি-র দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে।
তবে ঠিক কী কারণে তাঁকে ডাকা হয়েছে, তা নোটিস দেখে পরিষ্কার বোঝেননি বলে জানান মেয়র। মেয়রের কথায়, ‘‘সম্পত্তির হিসেব-টিসেব চাইতে পারে! কাগজপত্র দেখতে পারে!’’ কাগজপত্র চাইলে তা দিতে নিশ্চয়ই সময় পাওয়া যাবে— আশা করছেন শোভনবাবু।
বৃহস্পতিবার পুরভবনে মেয়র বলেন, ‘‘নারদ কাণ্ডের তদন্ত চলছে। তাই ডাক তো আসতোই, এখন বা ৪-৬ মাসের মধ্যে!’’ ওই ডাকের জন্য তিনি যে তৈরি তা এ দিন হাবেভাবে বুঝিয়ে দেন মেয়র। ডেপুটি মেয়র তথা বিধায়ক ইকবাল আহমেদকেও ইডি তলব করেছে। ইতিমধ্যেই ইকবালকে এক দফা জেরা করেছে সিবিআই। দ্বিতীয় বার জেরার আগেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ইকবাল। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, কলকাতা পুরসভার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্তা মেয়র এবং ডেপুটি মেয়রকে নারদ কাণ্ডে তলব করা কি অস্বস্তিকর নয়? পুর প্রশাসনের মনোবল কি ভেঙে পড়তে পারে এতে?
মেয়র শোভনবাবুর দাবি, পুরসভার নিয়মিত কাজকর্মে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। বুধবার নোটিস পাওয়ার পরে বৃহস্পতিবারে মেয়র পারিষদ বৈঠকে যোগ দিয়েছেন তিনি। পুরকর্তাদের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনাও করেছেন। পুরসভার একাংশের মতে, সিবিআই ডাকার পরেই ইকবালের হাতে থাকা তিনটি দফতর দেখার ভার দেওয়া হয়েছে মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারকে। এ-ও এক ধরনের প্রভাব বই কী!
যদিও পুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ডেপুটি মেয়র অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর হাতে থাকা কমিউনিটি ভবন এবং বিনোদন করের জন্য অনেককেই ঘুরতে হতো। সে কারণেই দেবাশিসবাবুকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।