আন্তর্জাতিক নারী দিবসে উত্তর পেল দুই সাংসদ
Mausam Noor

সুখবর দিলেন মমতাই

রবিবার ছিল তাঁর বাবার মৃত্যুবার্ষিকী। সকালে চাঁচলে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচি পালনের পরে দুপুরে পাণ্ডুয়ায় গিয়েছিলেন বাবা সৈয়দ মহম্মদ নুরের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে, দোয়া করতে।

Advertisement

জয়ন্ত সেন

মালদহ শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২০ ০৩:৪৫
Share:

মৌসম নুর।

রবিবার ছিল তাঁর বাবার মৃত্যুবার্ষিকী। সকালে চাঁচলে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচি পালনের পরে দুপুরে পাণ্ডুয়ায় গিয়েছিলেন বাবা সৈয়দ মহম্মদ নুরের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে, দোয়া করতে।

Advertisement

দলীয় সূত্রে খবর, ঠিক সেই সময়ই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে তাঁকে রাজ্যসভার দলীয় প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করার করার খবর দেন মৌসম নুরকে। দলনেত্রী তাঁকে আরও পরিশ্রম করার নির্দেশও দেন।

মৌসমকে রাজ্যসভায় পাঠানোর ‘কারণ’ নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। কয়েক জনের বক্তব্য, মালদহের রাজনীতিতে ‘কোতোয়ালি বাড়ি’র প্রভাব রয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ মালদহে জয়ী হয়েছেন ওই বাড়িরই বাসিন্দা আবু হাসেম খান চৌধুরী। সে বার মৌসম পরাজিত হলেও, এ ভাবেই কোতোয়ালি বাড়িকে কোনও ‘বার্তা’ দিলেন তৃণমূলনেত্রী। অন্য মহলের বক্তব্য, মৌসম কোনও কারণে ফের কংগ্রেসের ফিরে গেলে তৃণমূলের ক্ষতি হতে পারে। তাই সংসদে পাঠিয়ে তাঁকে দলে ধরে রাখল দল।

Advertisement

মালদহ উত্তর আসন থেকে কংগ্রেসের টিকিটে পর পর দু’বার সাংসদ হয়েছিলেন মৌসম নুর। গত লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দেন। ওই ভোটে তৃণমূল তাঁকে উত্তর মালদহ লোকসভা আসনেই দলীয় প্রার্থী করে। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুর কাছে হেরে যান মৌসম। ওই আসনে কোতোয়ালি বাড়ির ইশা খান চৌধুরী কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন।

জেলার রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, কংগ্রেস ও তৃণমূলের ভোট কাটাকাটিতেই বিজেপি উত্তর মালদহ লোকসভা আসন দখল করে। ভোটে হেরে যাওয়ার পরে মৌসমকে তৃণমূল জেলা সভাপতি পদে বসানো হয়।

এ দিন মৌসম বলেন, ‘‘দলনেত্রী আমাকে যে এত বড় দায়িত্ব দেবেন তা ভাবতে পারিনি। তিনি নিজে ফোন করে আমাকে এ দিন এই সুখবর দেন। সামনেই জেলার দু’টি পুরসভার নির্বাচন রয়েছে। তার পরে বিধানসভা। দু’টি পুরসভা দখলের পাশাপাশি আমরা যাতে বিধানসভা ভোটে ভাল ফল করতে পারি সেই চেষ্টা চালিয়ে যাব।’’ এ নিয়ে কোতোয়ালি বাড়ির সদস্য তথা সুজাপুরের কংগ্রেসের বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী বলেন, ‘‘খবর শুনেছি। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমার কিছু বলার নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement