মৌসম বেনজির ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ৮ জনের কোর কমিটির সব সদস্যকে দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় বৈঠকে ডাকলেও এলেন ৫ জন। গরহাজারি খোদ জেলা সভানেত্রী তথা রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ মৌসম বেনজির নুর। আসেননি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রও।
শুক্রবার রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই দিনই মালদহের নেতাদের অভিষেক কলকাতায় তলব করেন বলে জানা যায়। দলের জেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর, জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল, প্রাক্তন দুই মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, সাবিত্রী মিত্র, ৩ জন কো-অর্ডিনেটর দুলালচন্দ্র সরকার, অম্লান ভাদুড়ী ও মানব বন্দ্যোপাধ্যায়— এই ৮ জনকে নিয়ে গঠিত তৃণমূলের মালদহ জেলা কোর কমিটি। এঁদের মধ্যে ৫ জন কলকাতায় আসেন। মৌসম, সাবিত্রী ছাড়াও আসেননি মানব। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলায় জোর রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি জল্পনা মৌসমকে নিয়ে। দলীয় মুখপাত্র শুভময় বসু, সুমলা আগরওয়ালরাও জানেন না মৌসমের বৈঠকে না যাওয়ার কারণ। বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের অন্য নেতারাও এ নিয়ে অন্ধকারে। জেলার এক নেতা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় মৌসম একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে ছিলেন। রাত ১০টা পর্যন্ত সেখানেই সময়ও কাটান। সেই সময়ও মৌসম জানান, রাতের দার্জিলিং মেল ধরে যাবেন বৈঠকে যোগ দিতে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৩ বছর পরে পাহাড়ে ফিরতে চলেছেন বিমল গুরুং
বৈঠক শুরু হওয়ার পর মৌসমের অনুপস্থিত কথা জানা যায়। আর সে খানেই জানা যায় জ্বরে আক্রান্ত তিনি। এই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানতে মৌসমের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। তবে মৌসমের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মা জানান, মৌসম জ্বরে আক্রান্ত। রাতে শরীর খারাপ হয়। তাই তিনি যেতে পারেননি। এ দিকে দলের অন্যতম মুখপাত্র শুভময় বসু জানান, মৌসম যে জ্বরে আক্রান্ত, তা তাঁর জানা নেই। জেলা তৃণমূলের বক্তব্য, সাবিত্রী মিত্রও অসুস্থতার কারণে কলকাতা যাননি। আর অপর গরহাজির নেতা মানব ব্যাক্তিগত সমস্যায় যেতে পারেনি।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু দলত্যাগ করবেন ধরেই কৌশল সাজাচ্ছেন মমতার সৈনিকরা