রাজনৈতিক স্তরে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ কম নেই। তা ছাড়া, গত লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল নেতাদের উপর ‘স্টিং অপারেশন’ চালিয়ে তা ফাঁস করতে তিনি কেন দু’বছর সময় নিয়েছিলেন তা এখনও রহস্য! তবে তাঁর ফুটেজের ভিত্তিতেই আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় আপাতত বিজয়ীর হাসি হাসলেন ম্যাথু স্যামুয়েলই।
নারদ নিউজ সংস্থার কর্ণধার ম্যাথু তাঁর স্টিং অপারেশন সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করা মাত্রই তৃণমূল অভিযোগ করেছিল, ফুটেজটি জাল! তৃণমূলের এও অভিযোগ ছিল, ম্যাথুকে দিয়ে এই ষড়যন্ত্র করিয়েছে বিজেপি। কিন্তু হাইকোর্টের বিচারপতিরা শুক্রবার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, স্টিংয়ের ফুটেজগুলি বিকৃত করা হয়নি।
আরও পড়ুন: স্টিং অপারেশন’-এ অভিযুক্তদের প্রতিক্রিয়া, সে দিন আর এ দিন
আদালতের রায়ে স্বস্তি পেয়েছেন ম্যাথু। রায় ঘোষণার পর তিনি বলেন, ‘‘ফুটেজগুলি যে জাল নয়, তা একমাত্র আমিই জানতাম। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের উদ্দেশে বলেছিলাম, যত ইচ্ছা তদন্ত করে নিন। কিন্তু তদন্ত না করে ওঁরা আমাকে হেনস্থা করা শুরু করেন।’’
বিধানসভা ভোটের পর কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় ম্যাথুর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন। তার পরই তাঁকে ডেকে পাঠায় কলকাতা পুলিশ। ম্যাথুর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিসও জারি করা হয়। পরে অবশ্য কোর্টের নির্দেশে তা স্থগিত রাখতে হয়। ম্যাথু এ দিন বলেন, ‘‘ওরা আমার বিরুদ্ধে দু’টি মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে। সম্প্রতি দিল্লিতে আমার দফতরে হানা দিয়ে কম্পিউটার, ল্যাপটপ আটক করেছে। কিন্তু আমাকে দমানো যাবে না। আশা করছি, সিবিআই নিরপেক্ষ তদন্ত করবে এবং দোষীরা সবাই জেলে যাবেন।’’