প্রতীকী ছবি।
আপাতদৃষ্টিতে সক্রিয়তা নেই। তবে পশ্চিমবঙ্গে এখনও অস্তিত্ব রয়েছে মাওবাদীদের। মঙ্গলবার তেলঙ্গানায় ধৃত এক মাওবাদী দম্পতিকে জেরা করে এই তথ্য মিলেছে। অভিযোগ, কলকাতায় বসে অনেকে সরাসরি সাহায্য করে চলেছেন মাওবাদীদের। মাওবাদী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকও হচ্ছে এই শহরে।
তেলঙ্গানা পুলিশের এক কর্তা বুধবার বলেন, ‘‘মাওবাদীদের বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কলকাতা পুলিশকে জানানো হয়েছে। এ রাজ্যে মাওবাদীরা আপাতত নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন।’’ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর, তেলঙ্গানায় ধৃত ৫৪ বছরের নারলা রবি শর্মাকে জেরা করে জানা গিয়েছে, ২০১৮-র নভেম্বরে তিনি কলকাতায় এসে বৈঠক করেন ঝন্টু মুখোপাধ্যায় এবং বিপি সিংহ নামে দু’জনের সঙ্গে। মাওবাদী সংগঠনের প্রাক্তন পলিটব্যুরো সদস্য ঝন্টু বিহারে গ্রেফতার হন। পরে জামিন পান। মাওবাদী নেতা কিষানদা পূর্ব সিংভূমের সারান্ডা থেকে পশ্চিমবঙ্গে সংগঠন সামলাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গেও কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে রবির।
তেলঙ্গানার মানসুরাবাদ থেকে রবি শর্মার সঙ্গে তাঁর স্ত্রী চেল্লাপু অনুরাধাকেও গ্রেফতার করেছে এলবি নগর থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছে কাগজপত্র, ল্যাপটপ, পেন ড্রাইভ, মেমারি কার্ড পাওয়া গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ-বিহার-ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন রবি ও অনুরাধা। তেলঙ্গানা পুলিশ সূত্রের খবর, পেশায় কৃষি-গবেষক রবি ১৯৯৮ সালে সক্রিয় আন্দোলনে নামেন। এমসিসি এবং পিডব্লিউজি মিলিয়ে মাওবাদী দল গড়ার ক্ষেত্রেও সক্রিয় ছিলেন রবি। ২০০৯ সালের ১৭ অক্টোবর গ্রেফতার হন তিনি। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল ছাড়া পান। পুলিশের অভিযোগ, ছাড়া পেয়ে স্বামী-স্ত্রী আবার জড়িয়ে পড়েন মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে।