না-খেয়ে হাজিরার প্রতিবাদ মাওবাদী নেত্রীর

ঠাকুরমণি হেমব্রম ওরফে তারা দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে হাজিরার জন্য মঙ্গলবার এসেছিলেন ঝাড়গ্রাম আদালতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৯ ০১:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

আদালতে হাজিরার দিন তাঁকে খেতে দেওয়া হয় না— এই অভিযোগে না খেয়েই প্রতিবাদ জানালেন মাওবাদী নেত্রী তারা।

Advertisement

ঠাকুরমণি হেমব্রম ওরফে তারা দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে হাজিরার জন্য মঙ্গলবার এসেছিলেন ঝাড়গ্রাম আদালতে। তিনি অভিযোগ করেন, হাজিরার জন্য যে দিন তাঁকে কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম আসতে হয়, সেদিন আধপেটা খেয়ে থাকা ছাড়া গতি থাকে না। যাতায়াত-হাজিরা মিলিয়ে ১৫-২০ ঘন্টা সময়ের জন্য খাবারে বরাদ্দ থাকে মাত্র ৫০ টাকা।

তারই প্রতিবাদে এ দিন কিচ্ছু খাননি তারা। ঝাড়গ্রাম দ্বিতীয় এসিজেএম আদালতে একটি নাশকতার মামলায় হাজিরা দেওয়ার পরে দমদমে ফিরতেও অস্বীকার করেন তিনি। বিচারক এজলাস থেকে নেমে যাওয়ার পরে আদালত কক্ষে ঠায় ঘন্টা দু’য়েক দাঁড়িয়ে থাকেন। পুলিশ কর্মীদের জানিয়ে দেন, সমস্যার সুরাহা না হলে তিনি নড়বেন না।

Advertisement

শেষে তারার আইনজীবী কৌশিক সিংহ দরখাস্ত দাখিল করে তাঁর মক্কেলের অভিযোগ বিচারকের কাছে পেশ করেন। বিচারক ঋষি কুশারী দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। এর পর বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ পুলিশের গাড়িতে ওঠেন তারা।

শিলদায় ইএফআর ক্যাম্পে ২৪ জন জওয়ান খুন-সহ রাষ্ট্রদ্রোহ, অন্যান্য খুন, অপহরণ, হামলা, নাশকতার ২২টি মামলায় অভিযুক্ত তারা। তাঁর স্বামী মাওবাদী নেতা বিকাশও (মনসারাম হেমব্রম) এখন জেলবন্দি। কারা দফতরের এক সূত্রের দাবি, হাজিরার জন্য কলকাতা থেকে রওনা দেওয়ার আগে খাইয়েই পাঠানো হয়। রাস্তায় খাবারের জন্য দেওয়া হয় ৫০ টাকা। আদালতের নির্দেশ মান্য করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

মাওবাদী নেতা-নেত্রীদের একাংশ আত্মসমর্পণের পরে সরকারি পুনর্বাসন প্যাকেজ পেয়েছেন। তাঁরা পুলিশের চাকরি করছেন। অথচ যে সব মাওবাদী নেতা-নেত্রী বিচারাধীন বন্দি হয়ে রয়েছেন, তাঁদের কেন এই দশা হবে, প্রশ্ন উঠেছে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement