College Admission in West Bengal

স্নাতক স্তরে ভর্তির প্রথম দফায় আসন পেলেন না লক্ষাধিক পড়ুয়া

উচ্চ শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, ইংরেজি, প্রাণিতত্ত্ব, মাইক্রো বায়োলজি, বাণিজ্য সহ কয়েকটি বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু কলেজে প্রচুর পরিমাণে আবেদন জমা পড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪ ০৮:০৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

স্নাতক স্তরে অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তির প্রথম দফার আসন বরাদ্দ করা হল। শুক্রবার কলেজ ও বিষয়ভিত্তিক এই আসন বরাদ্দ করা হয়েছে ৪ লক্ষ ২২ হাজার ২৪৫ জন পড়ুয়াকে। মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৭৮১। এ দিনই অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে আপাতত এক লক্ষেরও বেশি পড়ুয়া এই দফায় ভর্তির সুযোগ পাননি। তবে প্রথম দফায় ভর্তির সুযোগ না পেলেও এই লক্ষাধিক পড়ুয়া ভর্তির জন্য আরও তিন বার সুযোগ পাবেন। চলতি দফায় ২৩ জুলাই আসন ‘আপগ্রেড’ হবে। তার ভিত্তিতে ২৩ থেকে ২৬ জুলাই ভর্তি নেওয়া হবে। তার পর ‘মপ-আপ রাউন্ডে’ ৮ থেকে ১৭ অগস্ট নতুন করে আবেদন করতে পারবেন। ২৭ থেকে ৩০ অগস্ট ‘মপ-আপ রাউন্ডে’ আবার যখন সিট ‘আপগ্রেড’ হবে, তখনও তাঁদের ভর্তির সুযোগ থাকছে। প্রতিটি পড়ুয়ার সর্বোচ্চ ২৫ টি আবেদনের সুযোগ ছিল। উচ্চ শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, ইংরেজি, প্রাণিতত্ত্ব, মাইক্রো বায়োলজি, বাণিজ্য সহ কয়েকটি বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু কলেজে প্রচুর পরিমাণে আবেদন জমা পড়েছে। স্বভাবতই এই সব বিষয়ে সব আবেদনকারী তাঁদের পছন্দের কলেজে পছন্দের বিষয় পাননি। রাজ্যের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৬১টি সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে স্নাতক স্তরে ৭ হাজার ২১৭টি কোর্সে ৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯২১টি আসন আছে। এ বার নামকরা কলেজে আবেদনের হার ছিল বেশি। চন্দননগর কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস সরকারের কথায়, ‘‘আসন প্রচুর। বিষয়টি হল পছন্দের। সকলেই প্রথম সারির কলেজ গুলিতে ভর্তি হতে চায়। এর ফলে সকলের যা প্রাপ্ত নম্বর তাতে এইসব কলেজে প্রথম দফার তালিকায় জায়গা হয়নি। ওদিকে পরের সারির কলেজে আসন ফাঁকা থেকে যায়।’’ সূত্রের খবর, কলকাতার প্রথম সারির একাধিক কলেজে একটি আসন পিছু ১০ জনের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। কলকাতার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে গোয়েঙ্কা কলেজ অব কমার্স অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ভর্তি হওয়ার জন্য। সেখানে মোট আসন সংখ্যার প্রায় ২০ গুণ আবেদন পড়েছে। নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি এবং আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতি বলেন, ‘‘সংরক্ষিত আসন ‘ডি-রিজ়ার্ভ’ এ বারও করতে হবে। তা হলে কিছুটা আসন ভরবে। তবুও যা মনে হচ্ছে এ বারও প্রায় ৪৫% আসন ফাঁকা
থাকতে পারে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement