School Hostels

নিরাপত্তা শিকেয় বহু স্কুলের হস্টেলেও

শিক্ষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিক্ষা দফতরের থেকে হস্টেলগুলির জন্য কোনও অনুদান পাওয়া যায় না। একমাত্র তফসিলি জাতি ও তফসিলি জনজাতি পড়ুয়ারা হস্টেলে থাকার জন্য অনুদান পান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৩ ০৯:৫১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

হস্টেলের সুপার নেই। নেই নৈশ প্রহরীও। তাই নজরদারি বলেও কার্যত কিছু নেই। এই পরিস্থিতিতে অভিযোগ, রাজ্যের বহু স্কুলের হস্টেলে রাতবিরেতে বহিরাগতদের আড্ডা বসে, নেশাভাঙও করে তারা। কোথাও আবার ঘটে নানাবিধ দুর্ঘটনা। এই সমস্যা নতুন নয়। তবে যাদবপুরের হস্টেল কাণ্ডের পরে ফের সামনে এসেছে স্কুলের হস্টেলের এই নানাবিধ অভিযোগ। হস্টেলের আবাসিকদের অভিভাবকদের অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁরা সন্তানদের নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন। হস্টেলে সুপার, রক্ষী নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকেরাও।

Advertisement

তবে শিক্ষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিক্ষা দফতরের থেকে হস্টেলগুলির জন্য কোনও অনুদান পাওয়া যায় না। একমাত্র তফসিলি জাতি ও তফসিলি জনজাতি পড়ুয়ারা হস্টেলে থাকার জন্য অনুদান পান। বর্তমানে স্কুলগুলির ভাঁড়ারের যা অবস্থা তাতে নিজেদের খরচে সুপার, রক্ষী রাখা সম্ভব নয়।

পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের দশগ্রাম সতীশচন্দ্র সর্বার্থ সাধক শিক্ষা সদন এর প্রধান শিক্ষক যুগল প্রধান জানান, তাঁদের স্কুলের হস্টেলে ২২০ জন থাকলেও সুপারিনটেনডেন্ট নেই। ওই হস্টেলে পড়ুয়াদের পাশাপাশি এলাকায় টিউশন পড়ান এরকম যুবকেরা থাকেন। তাঁরাই যা নজরদারি করার তা করেন।

Advertisement

প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টারস অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, “যাদবপুরের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে স্কুলের হস্টেলগুলোরও এখনই আমূল সংস্কারের প্রয়োজন আছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement