ফাইল চিত্র।
আইন ভেঙে হাতছাড়া হল ভর্তুকি। উল্টে পকেট থেকে গেল পাঁচগুণ জরিমানা।
পুজো উদ্যোক্তাদের আর্থিক বোঝা কমাতে দুর্গা পুজোয় বিদ্যুতে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মণ্ডপে বিদ্যুৎ খরচের উপর ৬০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়েছিল সরকার। তার পরেও দুর্গাপুজোর মণ্ডপে অবৈধ ভাবে বাড়তি বিদ্যুৎ ব্যবহার করার ঘটনা সামনে এল ঘাটালে। মহকুমার ৪৭টি পুজো কমিটিকে জরিমানা করল বিদ্যুৎ দফতর। অবৈধ উপায়ে বাড়তি বিদ্যুৎ ব্যবহার করার দায়ে পুজো কমিটিগুলির ভর্তুকি শুধু খোয়া গেল তা নয়, গুণতে হল পাঁচগুণ টাকা। ঘাটাল বিদ্যুৎ দফতরের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার দেবজ্যোতি রাউত মানলেন, “অবৈধ উপায়ে বাড়তি বিদ্যুৎ ব্যবহার করার জন্য ঘাটাল মহকুমায় ৪৭টি পুজো কমিটিকে জরিমানা করা হয়েছে। নিয়ম মেনে যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
গত বছর থেকেই দুর্গাপুজোর মণ্ডপে বিদ্যুৎ খরচে ভর্তুকির কথা ঘোষণা করে সরকার। গত বার ছিল পঞ্চাশ শতাংশ ভর্তুকি। এ বার তা বেড়ে ষাট শতাংশ হয়। বিদ্যুৎ দফতর জানিয়েছে, সাধারণত অস্থায়ী সংযোগের জন্য প্রতিদিন প্রতি কিলোওয়াটে ২৭০ টাকা দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে ভর্তুকি থাকায় দিতে হয়েছে ১০৬ টাকা করে। ঘাটাল মহকুমায় এ বার বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ভর্তুকি বাদেও ৪৭টি পুজো কমিটি অবৈধ ভাবে বাড়তি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছে। অভিযানে হাতেনাতে তা ধরা পড়ে। দাসপুর, ক্ষীরপাই, চন্দ্রকোনা, রামজীবনপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় মোট ৪৭টি পুজো কমিটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সমস্ত কমিটির কাছে মোট ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ঘাটালের এক পুজো কমিটির কর্তা অবশ্য মানলেন, “আগে হুকিং করেই পুজো করতাম। এখন তো অনুমতি নিয়েছি।তবে বাড়তি বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছিল। বড় মণ্ডপ হয়েছিল। মেলাও বসেছিল।” চন্দ্রকোনার এক কমিটির এক কর্তা অবশ্য বলেন, “জরিমানা করেছে দিয়ে দেব। তা না হলে আগামী বছর তো অনুমতি পাব না।”