—প্রতীকী ছবি।
যাঁদের বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, তাঁদের শুধু চাকরি বাতিল করলেই হবে না, বঞ্চিত যোগ্যদেরও দ্রুত নিয়োগ করতে হবে বলে দাবি করলেন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে নাগাড়ে অবস্থান চালিয়ে যাওয়া আন্দোলনকারীরা। আজ, সোমবার এসএসসির চাকরি বাতিলের মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা। তার আগে রবিবার এমনটাই মন্তব্য করলেন ১১৩৫ দিন ধরে অবস্থানরত নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীরা।
নবম থেকে দ্বাদশ, গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি মিলে ৮১৬১ জনের চাকরি এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে। নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থী অভিষেক সেন বলেন, ‘‘কলকাতা হাই কোর্ট চাকরি বাতিল করলে, তাঁরা হয়তো ফের সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। কিন্তু ওই রায়ের পাশাপাশি আমাদের দ্রুত নিয়োগের জন্যও আদালতের দিকেই তাকিয়ে আছি। আমাদের শেষ ভরসা তো আদালতই।’’
গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আন্দোলনের হাজারতম দিনে মাথার চুল ফেলে প্রতিবাদ করেছিলেন চাকরিপ্রার্থী রাসমণি পাত্র। তাঁর কথায়, ‘‘সোমবার হাই কোর্ট কী রায় দেয় তার দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছি। যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের চাকরি বাতিল হলে আমাদের নিয়োগ নিশ্চয়ই ত্বরান্বিত হবে।’’ রাসমণির মতে, ‘‘সরকারের সঙ্গে বিকাশ ভবনে গিয়ে বেশ কয়েক বার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনও আলোচনাই শেষ পর্যন্ত আমাদের নিয়োগের দিশা দেখাতে পারেনি। সরকার এবং এসএসসি আমাদের বলে দিয়েছে, নিয়োগের বিষয়টা বিচার ব্যবস্থার উপরেই তাঁরা ছেড়ে দিয়েছেন। আমরা যারা যোগ্য চাকরিপ্রার্থী, তারা আর কতদিন এ ভাবে রাস্তায় বসে থাকব?’’
চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন, প্রথমে সিবিআই রিপোর্টে সাদা খাতা দিয়ে চাকরি পাওয়ার বিষয়টা জানতে পেরে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৮১৬১ জনের চাকরি বাতিল করেন। ডিভিশন বেঞ্চেও সেই রায় বহাল থাকে। এর পরে যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে তাঁরা সু্প্রিম কোর্টে যান। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, যাঁদের চাকরি বাতিল হল তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। শীর্ষ আদালত কলকাতা হাই কোর্টকে নির্দেশ দেয়, স্পেশাল কোর্ট গঠন করে ৯ মে-র মধ্যে বক্তব্য শুনতে হবে। কলকাতা হাই কোর্টের স্পেশাল ডিভিশন বেঞ্চে সাড়ে তিন মাস ধরে শুনানি চলার পরে সেই শুনানি সম্প্রতি শেষ হয়েছে। আজ, সোমবার সেই মামলারই রায় বেরোনর কথা।
নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘‘সোমবারের আদালতের রায়দান আমাদের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শুনানি চলাকালীন কোর্টরুমে বিভিন্ন প্রসঙ্গে আমরা যারা বঞ্চিত তাঁদের বিষয়টিও উত্থাপন করেছেন দুই বিচারপতি এবং আমাদের বিষয়টাও দেখবেন বলেছেন। আমরা এখন আদালতের রায়ের দিকেই তাকিয়ে আছি।’’