প্রতীকী ছবি।
‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়ে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের ‘পরীক্ষায়’ পাশ করতে পারলেন না তৃণমূলের এক ঝাঁক বিধায়ক। প্রশান্তের নির্দিষ্ট করে দেওয়া কর্মসূচি ‘অসম্পূর্ণ’ রেখেছেন তাঁরা। ওই বিধায়কদের গোটা কর্মসূচি নতুন করে পালন করতে হবে। আগামী ১২ জানুয়ারির মধ্যে তা শেষ করতে বলে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে বিভিন্ন জেলার বিধায়কদের নিয়ে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির পর্যালোচনা বৈঠক শুরু করেছে তৃণমূল। তাতেই এই বিষয়টি সামনে এসেছে। এদিনের বৈঠকে ছিলেন দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের বিধায়ক ও বাছাই করা দলীয় পদাধিকারীরা। দক্ষিণ কলকাতায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে পিকে ছাড়াও ছিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং অভিষেক। সাংগঠনিক বিষয়ে এদিন মূলত বলেন পিকে এবং অভিষেক।
সেখানেই এই পর্যালোচনা রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিষেক জানিয়েছেন, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিটি সাতদফায় ভাঙা হয়েছিল। অনেকেই সব সবক’টি পূরণ করেননি। বিধায়কদের কেউ নির্দিষ্ট এলাকায় রাতে থাকেননি, কেউ কর্মীর বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করেননি বা কেউ পরদিন সকালে পতাকা তোলেননি। এই বিধায়কদের নতুন করে এই কর্মসূচি শুরু করতে বলেছেন যুব তৃণমূল সভাপতি। তাংর বক্তব্য, যাঁরা তা করতে পারবেন না, তাঁদের দলকে লিখিতভাবে তা জানিয়ে দিতে হবে। আগামী ১২ জানুয়ারির মধ্যে ‘অসম্পূর্ণ’ কর্মসূচি সেরে দলকে জানাতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিধায়কদের। এদিনের বৈঠকে বিধায়কদের জানানো হয়, এই কর্মসূচির পাশাপাশি আগামী একমাস জেলা সভাপতি ও কো অর্ডিনেটরেরা বিধায়কদের সঙ্গে বিশেষ প্রস্তুতি বৈঠক করবেন। এপ্রিল মাসে ভোট ধরে, নিজের কেন্দ্রে কী ধরনের প্রস্তুতি প্রয়োজন দলের বিধায়কদের তা জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: ধর্মঘটে ‘শান’ দিতে বাম হাতিয়ার কুইজ, এনআরবি
‘অসম্পূর্ণ’ কর্মসূচি নতুন করে শুরু করার নির্দেশে আলোড়ন শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। দলীয় সূত্রে খবর, এই পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে অনেক হেভিওয়েট নেতাই নিজেদের কর্মসূচি অসম্পূর্ণ রেখেছেন। তাঁদেরও নতুন করে তা সম্পর্ণ করতে হবে। তারপর সব জেলার রিপোর্ট পর্যালোচনায় বসার কথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দলনেত্রীর ছবি সরিয়ে নিজেদের ছবি লাগানো নিয়ে ঝাড়গ্রামের নেতাদের সতর্ক করে দিয়েছেন পার্থবাবু।
আরও পড়ুন: পথে অগ্নি-শপথ, বাম-তৃণমূলে তরজাও