(বাঁ দিক থেকে) রাজনাথ সিংহ, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার এবং মনোহরলাল খট্টর। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
লোকসভা ভোটের পর বিজেপির রাজ্য কর্মসমিতির প্রথম বৈঠক হতে চলেছে বুধবার। আগামী দিনে রাজ্যে বিজেপির নীতি কী হবে, কলকাতার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে হতে চলা এই বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। প্রথমে জানা গিয়েছিল, বুধবারের বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত থাকতে পারেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজনাথের পরিবর্তে হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে পদ্মশিবির সূত্রে খবর।
গত বৃহস্পতিবার পিঠে যন্ত্রণা নিয়ে দিল্লির এমস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় রাজনাথকে। শনিবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও রাজনাথের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, আপাতত কয়েক দিন অন্য রাজ্যে দলের কাজে যাচ্ছেন না তিনি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতিনিধি হিসাবে কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন এবং বিদ্যুৎমন্ত্রী খট্টর। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই স্থির করেছেন, প্রতি রাজ্যে একটি করে রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠক হবে। তাতে উপস্থিত থাকবেন অন্তত এক জন করে কেন্দ্রীয় নেতা। মনে করা হচ্ছে, বুধবারের বৈঠকে দলের শীর্ষস্তরের বার্তা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে দেবেন খট্টর। এ ছাড়া, বৈঠকে থাকতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসলও।
বর্ধিত আকারে বিজেপির রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠক হবে বুধবার। জেলা সভাপতি, জেলা ইন-চার্জ-সহ দলের সর্বস্তরের নেতাদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। থাকবেন রাজ্য স্তরের সমস্ত মোর্চা এবং শাখা সংগঠনের সদস্যেরা। বুধবারের বৈঠকের ধরন নিয়ে রাজ্যের নেতাদের মধ্যেই ধন্দ রয়েছে। বঙ্গ বিজেপির অনেক নেতাই বলছেন, দলের নীতি, হারের পর্যবেক্ষণ নিয়ে সকলে বক্তব্য জানাতে পারবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। এমনও হতে পারে, মঞ্চে নেতারা বলবেন, বাকিদের নীচে বসে তা শুনতে হবে। ফলে এটি বৈঠক না সভা, তা এখনও স্পষ্ট নয় অনেকের কাছেই।
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ৪২টির মধ্যে মাত্র ১২টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি। যা গত বারের চেয়েও কম। তবে বুধবারের বৈঠকে ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করা হবে না বলেই খবর রাজ্য বিজেপি সূত্রে। বরং আগামী দিনে দল কী করবে, রাজনীতির ক্ষেত্রে বাংলায় বিজেপি কোন অঙ্ক ধরে এগোবে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে।