নিহত তরুণী ফুলকলি খাতুন।
স্ত্রীকে খুন করে মৃতদেহ লুকিয়ে রেখেছিল স্বামী। ভেবেছিল সময় মতো সেই দেহ সরিয়ে ফেলবে। কিন্তু দেহ পচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় ফাঁস হয়ে গেল তার কুকীর্তি। পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর থানার কাইগ্রামের এই ঘটনায় ওই স্বামী তার অপরাধ পুলিশের কাছে কবুল করেছে। শুক্রবার তাকে আদালতে পেশ করার পর জেরার জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
মৃতার নাম ফুলকলি খাতুন। বয়স ১৮। পাশের পাড়ার বাবু শেখের সঙ্গে দীর্ঘে প্রেমের পর তিন মাস আগেই বিয়ে হয় দু’জনের। তবে ফুলকলির পরিবারের অভিযোগ, ভালবেসে বিয়ে করলেও মেয়ের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। প্রায়শই তার কাছ থেকে টাকা চাইত বাবু। এই নিয়ে অশান্তিও লেগে থাকত। বৃহস্পতিবারও ফুলকলি বাড়িতে অশান্তি করে চলে গিয়েছে বলে জানায় বাবু। এমনকি ফুলকলির পরিবার তাঁর খোঁজ করলে বাইক নিয়ে স্ত্রীকে খুঁজতেও বের হয় সে। পরে জানা যায়, স্ত্রীকে খুন করে তাঁর দেহ বস্তায় মুড়ে একদিন আগেই বাড়ির গোয়াল ঘরের মাচায় তুলে রেখেছিল সে। পুলিশের কাছে বিষয়টি স্বীকারও করেছে অভিযুক্ত ব্যক্তি।
পুলিশ জানিয়েছে, সুযোগ বুঝে দেহটি সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা ছিল বাবা। কিন্তু হঠাৎই বৃহস্পতিবার রাত থেকে মৃতদেহ পচে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করলে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। দুর্গন্ধে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরাই মন্তেশ্বর থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে উদ্ধার করে বস্তাবন্দি মৃতদেহ।
শুক্রবার সেই দেহের ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে। এই ঘটনায় বাবুর ফাঁসির দাবি করেছেন নিহত তরুণী ফুলকলির পরিবার। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার তাকে কালনার আদালতে তোলা হয়। আপাতত খুনের মামলায় তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
কাইগ্রামের পাশাপাশি পাড়াতেই বাড়ি বাবু এবংতাঁর স্ত্রী ফুলকলির। তিন মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়। ফুলকলির মা কোহিনূর মল্লিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হঠাৎই বাবু বলতে শুরু করে, ফুলকলি অশান্তি করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে । খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি বাইক নিয়ে স্ত্রীকে খুঁজতেও বের হন বাবু। কোহিনূর জানিয়েছেন, ঘুণাক্ষরেও টের পাননি মেয়েকে খুন করে বস্তায় ভরে গোয়ালের মাচায় তুলে রেখেছে জামাই।