ক্ষতিগ্রস্ত: দুর্ঘটনার পর। নিজস্ব চিত্র
পাশাপাশি দুই গ্রামের অসুস্থ দুই ব্যক্তিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁদের পরিচিত এক যুবক। ভাড়া করা হয়েছিল একটি অ্যাম্বুল্যান্স। মাঝ পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ওই যুবকের। জখম দুই রোগী-সহ পাঁচজন। মঙ্গলবার সকালে হাওড়ার সাঁকরাইলের খাঁ পাড়ায় মুম্বই রোডের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মানস মাইতি (৩৫)। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের বহিচবেড়িয়ার গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক থেকে সকাল ৭টা নাগাদ অ্যাম্বুল্যান্সটি ছাড়ে। স্থানীয় পদুমপুর এবং নন্দকুমারের বহিচবেড়িয়া গ্রামের দু’জন রোগী ও তাঁদের দুই আত্মীয় ছিলেন সে অ্যাম্বুল্যান্সে। মানসবাবু ছিলেন দুই রোগীর পরিবারের পরিচিত।
মুম্বই রোড ধরে কলকাতার দিকে আসছিল অ্যাম্বুল্যান্সটি। খাঁ পাড়ার কাছে একটি ট্রাক রাস্তার ধারে একটি কারখানায় ঢোকার চেষ্টা করে। ট্রকটি আচমকা বাঁ দিকে ঘুরে যাওয়ায় অ্যাম্বুল্যান্সটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। সোজা ধাক্কা মারে ট্রাকের গায়ে। তারপর উল্টে গিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। চালকের পাশেই বসেছিলেন মানসবাবু। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
প্রাথমিক ভাবে উদ্ধারের কাজ হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ। পরে জখমদের উদ্ধার করে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দু’টি অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় গাববেড়িয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। পুলিশ ট্রাকটিকে আটক করেছে। তবে চালক পলাতক।