প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সোনারপুরে স্ত্রীকে খুন করে তিন বছর ধরে সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। অবশেষে সিআইডি-র গোয়েন্দাদের কাছে খুনের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। পুলিশ তাঁকে আগেই গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু খুনের প্রমাণ না মেলায় যুবক জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভোম্বল মণ্ডল এবং তাঁর স্ত্রী টুম্পা মণ্ডল সোনারপুরের বাসিন্দা। টুম্পা ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে নিখোঁজ। কন্যার সন্ধান না পেয়ে সোনারপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন তাঁর বাবা লক্ষ্মণ হালদার। পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। নিখোঁজ মহিলার স্বামীকে গ্রেফতারও করা হয়। কিন্তু টুম্পাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি এই মামলাটি হাই কোর্টে ওঠে। আদালতের নির্দেশে গত ১৩ জুন তদন্তের ভার পায় সিআইডি। তারা ভোম্বলকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। শুক্রবার গোয়েন্দাদের জেরার মুখে অবশেষে স্ত্রীকে খুনের কথা কবুল করে নিয়েছেন ভোম্বল। তিনি জানিয়েছেন, তিন বছর আগে ২০২০ সালেই স্ত্রী টুম্পাকে তিনি খুন করেছিলেন। তার পর দেহ লুকিয়ে ফেলেছিলেন তাঁদের সোনারপুরের ভাড়া বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে।
প্রমাণের অভাবে ভোম্বলকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। সিআইডির কাছে খুনের কথা স্বীকার করে নেওয়ার পর তাঁর জামিন বাতিলের আবেদন জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এই মামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা যুক্ত করার আবেদনও জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। যুবকের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নির্দিষ্ট বাড়িতে গিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন সিআইডির গোয়েন্দারা।