বিক্ষোভ বা ধর্মঘটে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ভাঙচুরকারীকেই। বিধানসভার পরের অধিবেশনেই এই বিষয়ে বিল আনা হবে বলে সোমবার নবান্নে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘অধিবেশনে প্রথম বিলটাই আনব এই নিয়ে।’’ গত পাঁচ বছর এই ধরনের ঘটনায় যত ভাঙচুর হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ আদায় করতে আইনে ‘রেট্রোস্পেক্টিভ এফেক্ট’ রাখা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। নতুন আইনে কি ‘রেট্রোস্পেক্টিভ এফেক্ট’ দেওয়া সম্ভব? সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোনও নতুন আইন করে অতীতের অপরাধের সাজা দেওয়া সম্ভব নয়। এটা করলে তা অসাংবিধানিক হবে।’’ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, অরুণাভ ঘোষের মতো আইনজীবীরাও জানাচ্ছেন, আইনে ‘রেট্রোস্পেকটিভ এফেক্ট’ বলে কিছু হয় না। ২ সেপ্টেম্বরের ধর্মঘটে ক্ষতিগ্রস্ত দু’জন গাড়ি-মালিকের হাতে এ দিন ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।