উৎসাহে ২২ বার থামল কনভয়

অপেক্ষা শুরু হয়েছিল সকাল ৯টা থেকে। মাঝে কয়েকপশলা বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। নানা রঙের ছাতা খুলে গিয়েছে, ভিড় নড়েনি। তার জেরেই শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পঙের প্রায় ৭০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে অন্তত ২২ বার থামল মুখ্যমন্ত্রীকর কনভয়।

Advertisement

রেজা প্রধান

কালিম্পং শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৫১
Share:

শিলিগুড়ির অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার। — বিশ্বরূপ বসাক

অপেক্ষা শুরু হয়েছিল সকাল ৯টা থেকে। মাঝে কয়েকপশলা বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। নানা রঙের ছাতা খুলে গিয়েছে, ভিড় নড়েনি। তার জেরেই শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পঙের প্রায় ৭০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে অন্তত ২২ বার থামল মুখ্যমন্ত্রীকর কনভয়।

Advertisement

কখনও গাড়ির জানলা গলে খাদা পৌঁছে গিয়েছে, কখনও বা ভিড়ের আবদারে দরজা খুলে নেমে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। বুধবার শিলিগুড়ির মার্গারেট স্কুলে সরকারি সভা শেষ করে বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় রওনা হয় কালিম্পঙের দিকে। সমতল ছেড়ে পাহাড়ি রাস্তা ধরেই সেবক সেতুতে প্রথম সংবর্ধনার আয়োজন ছিল। সেবক পুল, সেবক বাজার তিন জায়গাতেই থেমেছে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি। পাকদণ্ডি রাস্তার ধারে ভিড়ের জন্য কনভয়ের গতিও ছিল কম।

এ বারের মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফর নিয়ে কিছুটা ‘টেনশনে’ই রয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। গতবারের পাহাড় সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য তিনটি পৃথক বোর্ড ঘোষণা করেছিলেন। তার পর থেকেই মোর্চা এবং রাজ্য সরকারের সম্পর্কের অবনতি শুরু। একের পর বোর্ডের ধাক্কায় মোর্চা প্রধান বিমল গুরুঙ্গ জিটিএ ছেড়ে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। পাহাড়ে বন‌্ধ শুরু হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে এলেও মোর্চার প্রতিনিধি দেখা করতে যাবে না বলে গুরুঙ্গ জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এবারের পাহাড় সফর ঘিরে যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। তবে প্রথমদিনে যে ভাবে একের পর এক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা কনভয় আগলে সংবর্ধনা দিয়েছেন তাতে তৃণমূল নেতাদের হাসি চওড়া হয়েছে। তৃণমূলের পাহাড় কমিটির মুখপাত্র বিন্নি শর্মা বলেন, ‘‘বাসিন্দাদের উৎসাহ সব ছাপিয়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী কালিম্পঙে পৌঁছন। ইতিমধ্যে যে সব সম্প্রদায়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী বোর্ড ঘোষণা করেছেন, তাদের প্রতিনিধিরা তো ছিলই সঙ্গে বোর্ডের দাবিদার অন্য সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিল। নেওয়ার সংগঠনের সভাপতি বিমল প্রধান বলেন, ‘‘আমাদের সম্প্রদায়ের বোর্ডের আর্জি মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। আশা করি, বোর্ড পাব।’’ ভূজেল, লেপচা, সার্কি, দামাই, মঙ্গর, লিম্বু, কামি, সার্কি তামাঙ্গ সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা চিত্রে, ছ মাইল, ডম্বরচক, রম্ভি সহ জাতীয় সড়ক জুড়েই মুখ্যমন্ত্রীর অপেক্ষায় ছিল। ডেলোর ট্যুরিস্ট লজে ঢোকার আগেও মুখ্যমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement