আমন্ত্রণ সিঙ্গাপুরের, যেতেও পারেন মমতা

মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে তাঁর কাছে বিভিন্ন সময়ে বিদেশ সফরের আমন্ত্রণ এসেছে। তাঁর মধ্যে কিছু আমন্ত্রণ তিনি গ্রহণ করলেও এখনও পর্যন্ত দেশের বাইরে কোথাও যাননি। এ বারে কিছুটা হলেও জোরালো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গাপুর সফরের সম্ভাবনা। উদ্দেশ্য, রাজ্যে শিল্পের জন্য লগ্নি টানা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৪ ০৪:১৩
Share:

মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে তাঁর কাছে বিভিন্ন সময়ে বিদেশ সফরের আমন্ত্রণ এসেছে। তাঁর মধ্যে কিছু আমন্ত্রণ তিনি গ্রহণ করলেও এখনও পর্যন্ত দেশের বাইরে কোথাও যাননি। এ বারে কিছুটা হলেও জোরালো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গাপুর সফরের সম্ভাবনা। উদ্দেশ্য, রাজ্যে শিল্পের জন্য লগ্নি টানা। মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গাপুর গেলে এটাই হবে তাঁর প্রথম বিদেশ যাত্রা। তবে গেলেও কবে, সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানানো হয়নি। সরকারের একটি সূত্রের বক্তব্য, সেপ্টেম্বরে এই সফর হতে পারে।

Advertisement

সম্প্রতি সিঙ্গাপুর সরকার মুখ্যমন্ত্রীকে সে দেশে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। মূলত সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন বণিকসভা এবং শিল্প গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসার জন্যই সে দেশের সরকারের তরফে এই আমন্ত্রণ বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে দেখছেন বলে শুক্রবার নবান্নে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি জানান, সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ ভাবে আগ্রহী। বিষয়টি তিনি বিবেচনা করে দেখছেন।

ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে শিল্প লগ্নি টানতে মমতা দিল্লি, মুম্বই গিয়েছেন। সরকারি উদ্যোগে ‘বেঙ্গল লিডস’ নামক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিল্পপতিদের মন জয়ের চেষ্টা করেছেন তিনি। দিল্লিতে শিল্পপতিদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে দেশের প্রথম সারির শিল্পপতিদের উপস্থিতি সে ভাবে নজরে না এলেও মুম্বইয়ে মুকেশ অম্বানী-র মতো একাধিক শিল্পপতি সেখানে হাজির ছিলেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি গোষ্ঠী এ রাজ্যে অন্ডালে বিমাননগরী তৈরি করতে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী সে দেশের সরকারের আমন্ত্রণের বিষয়টি একেবারে ফেলে দিতে পারছেন না। সিঙ্গাপুরের বিদেশমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নবান্নে আমন্ত্রণপত্রটি আসার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ২০০৫ সালে সিঙ্গাপুর সফরে গিয়েছিলেন। ওই সফরেই তিনি সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরটি ঘুরে দেখেন। তার পরেই চাঙ্গিকে এ রাজ্যে নিয়ে আসার উদ্যোগ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে তারা বর্ধমানের অন্ডালে বিমাননগরী প্রকল্পে বিনিয়োগ করে। মমতাও সিঙ্গাপুর সফরে গেলে চাঙ্গি বিমানবন্দরটি ঘুরে দেখতে পারেন বলে একটি সূত্রের দাবি।

শিল্পমন্ত্রী এ দিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গাপুরে গেলে তাঁর সঙ্গে সরকারের পদস্থ আধিকারিকদের পাশাপাশি রাজ্যের বণিকসভার সদস্যরাও যাবেন। এ রাজ্যে তাঁদের লগ্নির অভিজ্ঞতার কথা সেখানে গিয়ে বলবেন।” তিনি জানান, সিঙ্গাপুরে পৃথিবীর একাধিক বহুজাতিক সংস্থার সদর দফতর রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী গেলে ওই সংস্থাগুলির কর্তাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এ ব্যাপারে চাঙ্গি গোষ্ঠী-সহ সিঙ্গাপুর সরকারও চেষ্টা চালাবে বলে শিল্পমন্ত্রী এ দিন জানিয়েছেন।

এ দিন মমতার সঙ্গে দেখা করতে নবান্নে আসেন চাঙ্গি ইন্টারন্যাশনাল সংস্থার চেয়ারম্যান কি-সহ তাদের গোষ্ঠীর অন্যান্য কর্তারা। অন্ডালে ওই সংস্থাটি বিমাননগরী তৈরি করতে প্রথম ধাপে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা লগ্নি করছে। চাঙ্গি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান বলেন, “এ বছরের শেষেই অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে বিমান পরিষেবা আমরা শুরু করে দিতে পারব বলে আশা করছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement