—ফাইল চিত্র।
নোট সঙ্কট ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠক করে মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেনে নিন কেন্দ্রীয় সরকার সম্পর্কে কী কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী:
• ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ নেই। জাপানে বসে ভয় দেখাচ্ছে। আমরা ভয় করি না। কী করবে? গুলি করে মারবে?
• কাউকে কিছু পাইয়ে দেওয়ার জন্য কি এটা করা হল? পুরো দেশটাকে অস্থির করে তোলা হয়েছে। এটা একটা ক্রাইম!
• অর্থনৈতিক ভাবে কত ক্ষতি হয়েছে এক দিনে, তার তদন্ত হওয়া উচিত। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ জন কর্মরত বিচারপতিকে দিয়ে এর তদন্ত হওয়া উচিত।
• বিজেপির চেয়ে বেশি কালোটাকা কার রয়েছে?
• আমাদের দেশের মানুষরা কিন্তু খুব বুদ্ধিমান, তারা মেনে নেবেন না। মানুষই জবাব দেবেন।
• স্বাধীনতার ৬৮ বছর পরেও কেন তা হলে দেশের এত গ্রামে এখনও ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিস তৈরি করতে পারেনি?
• আমরা কিন্তু কালোটাকার বিপক্ষে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে। কিন্তু ১ শতাংশ মানুষের জন্য কেন সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেবে?
• আমরা সবাই হাতে হাত দিয়ে কাজ করছি। দল নির্বিশেষে। সে সিপিএম হোক বা কংগ্রেস বা অন্য কোনও দল।
• সরকার পরিস্থিতি সামলাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। গরিবের বিরুদ্ধে এই সরকার। এদের সঙ্গে মাটির কোনও যোগ নেই।
• একনায়কতন্ত্র করতে করতে সব কিছুর সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বাচ্চা বিনা চিকিৎসায় মরে যাচ্ছে। ২০০০ টাকার একটা নোট দিয়ে কী করবে? কোথায় ভাঙাবে?
• আসলে পদ্ধতিটাই ভুল। কোনও পরিকল্পনা নেই। অর্থমন্ত্রী বলছেন, এটিএম ঠিক হতে এবং এই সঙ্কট কাটতে এখনও অনেক সময় লাগবে। তা হলে পরিকল্পনাটা হল কোথায়?
• আমার রাজ্যে ৭০০ পঞ্চায়েত রয়েছে, যেখানে কোনও ব্যাঙ্কই নেই। বলছে, সবাই ব্যাঙ্ক থেকে টাকা পেয়ে য়াবে। ওই সব এলাকার গরিব মানুষ কী করে টাকা পাবে?
• যার টাকা আছে, সে ঠিক সরিয়ে দিচ্ছে। ভুগছে শুধু সাধারণ মানুষ।
• বলেছিল, ১৫ লক্ষ টাকা করে ফেরত দেবে সবাইকে। ফেরত দেওয়া তো দূর অস্ত, যা ছিল তাও কেড়ে নিচ্ছে।
• সব লোক নাকি ওদের সমর্থন করছে!
• উত্তরপ্রদেশ আর পঞ্জাবের ভোটের আগে কেন এটা করা হল? উত্তর আছে কোনও? হঠাৎ কেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হল?
• মনে রাখবেন, আমিই প্রথম, যে এর বিরুদ্ধে গলা তুলেছে।
• নতুন নোট ছাপাতে কত টাকা খরচ হল? এ তো সাধারণ মানুষের টাকা!
• পুরো অর্থনীতিটাকে নষ্ট করে দিয়েছে। এই ক’দিনে কোনও বেচাকেনা হয়েছে? কত ক্ষতি হল, কোনও হিসেব আছে?
• বিদেশে বসে (প্রধানমন্ত্রী) দেশে লোককে শাসাচ্ছেন। দেশে যখন জরুরি অবস্থা, তখন তিনি বিদেশে গিয়ে বসে রয়েছেন। মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার কোনও ব্যাপার নেই।
• চিদম্বরমের সময়ে যা হয়েছিল, তা কিন্তু লোকের কোনও অসুবিধা হয়নি। কিন্তু এটা তো ইচ্ছা করে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি করে দেওয়া হল। সার্জিক্যাল অ্যানার্কি হচ্ছে এটা।
• এর আগে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের নাম করেও মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে।
• এটা কালোটাকার বিরুদ্ধে কোনও অভিযান নয়। মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
• ৩১ ডিসেম্বরের পরে নাকি দেখিয়ে দেবে কী করবে। গুলি করবে? বিদেশে গিয়ে জ্ঞানের বাণী দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আর কী করবে? এমনিতেই সবার খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
• অর্থমন্ত্রী জ্ঞান দিচ্ছেন, ‘সংযত হন’। দেশের অর্থনীতিকে সংযত করতে পেরেছেন কি?
• লোকের কি কাজ নেই যে ৮-১০ ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়াবে?
• প্রচুর পঞ্চায়েত রয়েছে, যেখানে ব্যাঙ্ক নেই। মানুষের সঙ্গে জালিয়াতি করা হল।
• এর জন্য বেচা-কেনা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। লোকের চাল-ডাল কেনার পয়সা নেই। শ্রমিকরা ভাতা পাচ্ছেন না।
• ব্যাঙ্কে টাকা নেই, এটিএম বন্ধ। যখন পরিকল্পনাই করল, তখন ২ লক্ষ এটিএম বন্ধ কেন? এ বার বলছে নতুন এটিএম তৈরি করতে হবে।
• সাধারণ মানুষকে শাসানো হচ্ছে।
• খুন করল কে? আর সাজা হচ্ছে কাদের?
• ১ শতাংশ লোকের হয়তো কালোটাকা রয়েছে, তার জন্য ৯৯ শতাংশ লোককে হেনস্থা করা হচ্ছে।
• হঠাৎ সিদ্ধান্তে এ সব করা হল। শাসক দলের লোকেরা নাকি জানত।
• এই সিদ্ধান্ত তুলে নেওয়া উচিত।
• কোনও পরিকল্পনা না করে জনগণের উপর এটা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। যত দিন যাচ্ছে লোকের হেনস্থা বাড়ছে।
• কোনও পরিকল্পনা ছাড়া এটা করা হয়েছে। লোক যে টাকা বাঙাবে, তার জন্য পর্যাপ্ত ১০০ টাকার নোট নেই।
• আমি আগেই বলেছিলাম ঠিক হচ্ছে না। তখন কেউ কিছু বলেনি।
আরও পড়ুন: নোটকাণ্ডে ক্রুদ্ধ মমতা লিখলেন কবিতা, পড়ুন