প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে হাজির থাকবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তবে ঘূর্ণিঝড়ের রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব তিনি পাঠিয়ে দেবেন প্রধানমন্ত্রীকে। বৃহস্পতিবার সাগরদ্বীপ থেকে জানিয়ে দিলেন মমতা।
ইয়াস নিয়ে কলাইকুণ্ডার বিমানঘাঁটিতে নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকের কর্মসূচি ছিল মমতার। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা নিয়েই সমস্যা বাড়তে শুরু করে। রাতের দিকে নবান্নের তরফে এ বিষয়ে দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় বলেও খবর। পরে অবশ্য শুক্রবার সকালে সাগরদ্বীপের প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘বৈঠকে থাকছি না। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব আমি প্রধানমন্ত্রীকে পাঠিয়ে দেব।’’
ইয়াস পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার সাগরদ্বীপে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী-সহ ১২ জন প্রশাসনিক কর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।মোদীর সঙ্গে বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মমতা জানিয়ে দেন, ইয়াস নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে হাজির থাকবেন না তিনি। তবে ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যের কী রকম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার হিসেব প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দেবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে কারা হাজির থাকছেন, তার একটি তালিকা বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লি থেকে পাঠানো হয়েছিল নবান্নে। তাতে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া বৈঠকে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, এই রাজ্যের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, এই তালিকা নিয়েই আপত্তি তোলেন মমতা। শুভেন্দু ওই বৈঠকে কোন পদমর্যাদায় হাজির থাকবেন, তা নিয়ে প্রশ্নও তোলেন। এরপর শুক্রবার সকালেই মমতা জানিয়ে দেন, তিনি মোদীর বৈঠকে থাকবেন না।