মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।
মঙ্গল এবং বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’টি জেলাতেই প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি। সফর সেরে তিনি বুধবারেই কলকাতায় ফিরবেন নাকি ওইদিন রাতে ঝাড়গ্রামে থেকে বৃহস্পতিবার শহরে ফিরবেন, তা সোমবার দুপুর পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রামে থাকবেন কি না, তা নির্ভর করছে সেদিনের প্রশাসনিক বৈঠক কতক্ষণ চলে, তার উপর।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই উত্তরবঙ্গ দিয়ে তাঁর জেলা সফর শুরু করেছেন মমতা। সেখানে প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন তিনি। দেখা যাচ্ছে, তার পরেই তাঁর সফর তালিকায় ঢুকে পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম। ঘটনাচক্রে, উত্তরবঙ্গের মতোই যেখানে গত লোকসভা ভোটে খুব ভাল ফল করেনি তৃণমূল। যা থেকে দলের একাংশ উপসংহার টানছেন, লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে নিজের জেলা সফরের সূচি ঠিক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে ভোটের আগে সেখানে প্রশাসনিক কাজকরমে গতি আসে। পাশাপাশিই, ভোটের আগে আরও এক বা একাধিকবার যাতে তিনি ওই জেলাগুলিতে ফিরে গিয়ে কাজকর্মের অগ্রগতির খতিয়ান নিতে পারেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ মমতা পৌঁছবেন খড়্গপুরে। সেখানেই তিনি প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। উল্লেখ্য, গত লোকসবা ভোটে খড়্গপুর আসনটি জিতেছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও তার পর উপ নির্বাচনে খড়্গপুর বিধানসভা আসনটি তৃণমূলের কাছে হারে বিজেপি। প্রসঙ্গত, দিলীপই ছিলেন ওই আসনের বিধায়ক। তিনি জিতে সাংসদ হওয়াতেই আসনটিতে ভোট হয়েছিল। প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য মমতার স্থান নির্বাচনে স্পষ্ট— দিলীপের দুর্গে দাঁড়িয়েই তিনি সরাসরি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর যাত্রা শুরু ফুলবাগান স্টেশন পর্যন্ত
খড়্গপুরে প্রশাসনিক বৈঠক সেরে মুখ্যমন্ত্রী চলে যাবেন ঝাড়গ্রাম। রাতে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িতে তাঁর থাকার কথা। পরদিন ঝাড়গ্রাম শহরে জেলার প্রশাসনিক বৈঠক। বৈঠক সেরে সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা ফিরতে পারেন অথবা সে রাতটি ঝাড়গ্রামে কাটিয়ে পরদিন কলকাতা ফিরতে পারেন বলেই প্রশাসনিক সূত্রের খবর। দু’টি বৈঠকেই পুলিশ-প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে শুরু করে ব্লক স্তরে কর্মীদের ডাকা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা খতিয়ে দেখতে ডাকা হয়েছে স্বাস্থ্য অফিসার এবং কর্মীদেরও। বৈঠকে উপস্থিত থাকতে ডাক পেয়েছেন জেলার বিধায়করাও।