মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হোয়াইট হাউস থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদায়ের পর আমেরিকা সফরে যাওয়ার কথা ভাবছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রের দাবি, আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করার পর আমেরিকা যেতে চান তিনি। গত চার বছরে আমেরিকার বিভিন্ন সিটিজেন ফোরাম, বাণিজ্যিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আসা আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছেন মমতা।
দলীয় সূত্রের বক্তব্য, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় সে দেশে যেতে চাননি তৃণমূল নেত্রী। ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে যে বহুচর্চিত রসায়ন তৈরি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, নীতিগত ভাবে তা পছন্দ ছিল না তৃণমূল নেতৃত্বের। গত বছরই মোদী গিয়ে ট্রাম্পের হয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সমাবেশে আওয়াজ তোলেন ‘আরও এক বার ট্রাম্প সরকার’। সেটিরও সমালোচনা করে তৃণমূল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মমতাই এ দেশের একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী, যিনি ফলাফল স্পষ্ট হওয়ার পরই মধ্যরাতে টুইট করে জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
দু’বছর আগে আমেরিকার শিকাগো শহরে বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দের বক্তৃতার ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে মমতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সে সময় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু হঠাৎ তাঁকে চিঠি দিয়ে ওই অনুষ্ঠান বাতিল করার কথা জানানো হয় শিকাগো থেকে।
আরও পডুন: ছেলে মারা গিয়েছে বুঝতে পেরেও আব্দুল রা কাড়েননি, পাছে বাস থেকে নামিয়ে দেয়
বিষয়টি নিয়ে তখন প্রশ্ন ওঠে। কেননা তার কিছু দিন পরেই প্রধানমন্ত্রী মোদীরও শিকাগো যাওয়ার কথা ছিল। উপলক্ষ সেই বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার ১২৫ বছর পূর্তি। প্রধানমন্ত্রীর সফরের গুরুত্ব বাড়াতেই মুখ্যমন্ত্রীর ওই সফর বাতিল করা হয়েছিল বলে জল্পনা শুরু হয়। মমতা সেখানে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সংগঠিত করা হতে পারে বলেও অভিযোগ উঠেছিল সে সময়। দলীয় সূত্রের খবর, ‘মোদী-ঘনিষ্ঠ’ ট্রাম্পের বিদায় নিশ্চিত হওয়ার পরে এ বার আমেরিকা নিয়ে নতুন করে ভাবছেন মুখ্যমন্ত্রী।