সংহতি দিবসে বাবাসাহেব অম্বেডকরের ৬৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ময়দানে গাঁধী-মূর্তির পাদদেশে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের যে কোনও ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে হবে বলে পুলিশকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবারই মালদহের ইংরেজবাজারে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবতীর অর্ধনগ্ন দগ্ধ দেহ মেলে। সে ঘটনায় এখনও অন্ধকারেই পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অনেকে ঘটনাটিকে ধর্ষণ বলছেন। ঘটনাটি পুলিশ হাতে নিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আগে পাই। জানতে হবে ঘটনাটি আদৌ ধর্ষণ কি না। তার পরে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে। কারণ পাশে সীমান্ত আছে। অনেকে ঢুকে পড়ে সেখান থেকে। এই ধরনের ঘটনায় লজ্জা পাই।’’ একই সঙ্গে হায়দরাবাদ এবং উন্নাওয়ে ধর্ষণ-কাণ্ডের নিন্দা করে মমতা বলেন, ‘‘কখনও কখনও এ ধরনের ঘটনা ঘটে যায়। ঘটনাগুলো আমাদের দুঃখ দেয়। তবে এই ধরনের ঘটনা মোকাবিলায় আইনকে আরও শক্তিশালী করা দরকার।’’
শুক্রবার বাবরি ধ্বংসের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে সংহতি দিবস পালন করে তৃণমূল। সেখানে উন্নাও প্রসঙ্গে মমতা প্রশ্ন তোলেন, ‘‘এই ঘটনা আমার হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে। সবাই তো জানত উন্নাওয়ের ধর্ষিতার মামলা চলছে। তা-ও কেন তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি?’’
এই রাজ্যে ধর্ষণ-সহ বিভিন্ন নারী নির্যাতনের ঘটনার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ৮৮টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত তৈরি করা হয়েছে বলে মমতা জানান। তার মধ্যে ৪৫টি মহিলাদের জন্য। এই আদালতের মাধ্যমে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পুলিশকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘এ ধরনের ঘটনা ঘটলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে ৩-১০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে হবে। পুলিশকে পুলিশের কাজ করতে হবে। যে না করবে, তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তাঁর মতে, পুলিশ আইন মেনে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে তুলবে, বিচারালয় তার বিচার করবে। বিচারও দ্রুত সারার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। মমতা ক্ষমতায় আসার পরে দক্ষিণ দিনাজপুরের ধর্ষণ-কাণ্ডে তিন দিনের মধ্যে ফাস্ট ট্র্যাক আদালত চার্জশিট দিয়েছিল, তার উল্লেখ করেন মমতা।