মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শালবনিতে জিন্দলদের সিমেন্ট কারখানার উদ্বোধন করতে ১৫ জানুয়ারি জেলায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সজ্জন জিন্দলও থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, ওই দিন মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক জনসভাও করবেন। যে সভা থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে। বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসও হতে পারে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “আগামী ১৫ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী শালবনিতে আসবেন। জিন্দল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। পরে এক প্রশাসনিক জনসভাও করবেন।”
ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর শালবনি সফরের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। শুক্রবারই শালবনিতে গিয়ে জিন্দলদের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে জেলা পুলিশ-প্রশাসনের এক দল। ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া, জেলা পরিকল্পনা আধিকারিক সুমন্ত রায়।
২০১৬ সালের গোড়ায় শালবনিতে এসে জিন্দলদের প্রস্তাবিত সিমেন্ট কারখানার শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই প্রকল্পের কাজ এগোতে শুরু করে। শিল্পের জন্য শালবনিতে ৪,৩৩৪ একর জমি নিয়েছে জিন্দল গোষ্ঠী। এরমধ্যে ৩,০৩৫ একর জমি খাস। শুরুতে ঠিক ছিল এখানে ইস্পাত কারখানা হবে। পরে অবশ্য তা স্থগিত রাখা হয়। সিমেন্ট শিল্পের হাত ধরে ব্যবসা শুরুর উদ্যোগ নেন জিন্দলরা। এখন শালবনিতে ৮০০ কোটি টাকা লগ্নি করে সিমেন্ট কারখানা করা হচ্ছে।
সিমেন্ট কারখানার পরে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও রং কারখানা গড়ারও পরিকল্পনা রয়েছে। কারখানা থেকে বছরে ২৪ লক্ষ টন সিমেন্ট উৎপাদন হওয়ার কথা। কারখানা চালু হলে প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে ২৫০ জনের। পরোক্ষ ৬০০ জনের। কারখানা পুরোদমে চালু হওয়ার পরে উত্পাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করার কাজও শুরু হওয়ার কথা। গত জুলাই থেকেই পরীক্ষামূলক ভাবে সিমেন্ট উত্পাদন শুরু হয়েছে শালবনির এই কারখানায়। সিমেন্ট কারখানাটা পুরোদমে চালু হোক, চান শালবনির জমিদাতা পরিবারগুলোও। এই সময়ের মধ্যে কয়েকবার শালবনিতে এসেছেন সজ্জন-পুত্র পার্থ জিন্দল। কারখানা পরিদর্শনও করেন।
২০১৭ সালের মধ্যেই জিন্দলদের প্রস্তাবিত সিমেন্ট প্রকল্প চালু হওয়ার কথা। সেই মতোই কাজ এগোয়। জিন্দল প্রকল্প উদ্বোধনের পরে গাইঘাটার মাঠে প্রশাসনিক জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূলের শালবনি ব্লক সভাপতি নেপাল সিংহ বলেন, “ফের মুখ্যমন্ত্রী আসবেন। শালবনির মানুষ খুব খুশি।”