State News

যার যেখানে শক্তি সেখানে সে লড়ুক, বললেন মমতা

সোমবার কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গাঁধীর ডাকা বিরোধী নেতাদের বৈঠকে মমতা যাননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:৫৩
Share:

মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন আন্দোলনকারী এক ছাত্রী। সোমবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের ধর্নামঞ্চে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

দেশ জুড়ে নাগরিকত্ব-আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করতে দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী নেতাদের বৈঠকের দিনেই কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, ‘‘যে দলের যেখানে শক্তি আছে, তারা সেই রাজ্যে আন্দোলন করুক। আমাদের এখানে শক্তি আছে, আমরা এখানে করব।’’

Advertisement

সোমবার কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গাঁধীর ডাকা বিরোধী নেতাদের বৈঠকে মমতা যাননি। তার কারণ হিসেবে তিনি বাংলা বনধের নামে রাজ্যে সিপিএম ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘গুন্ডামি’র অভিযোগ তুলেছেন। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ধর্মতলায় তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের ধরনা মঞ্চে মমতা এদিন বলেন, ‘‘‘দু’ঘন্টার জন্য ঝান্ডা নিয়ে এসে পালিয়ে যাওয়া আন্দোলন নয়। সস্তায় প্রচার পাওয়ার জন্য কেউ কেউ দুটো বাসে আগুন দিয়ে দিচ্ছে। দুটো ঢিল ছুড়ে দিচ্ছে। গালাগালি দিচ্ছে। এভাবে আন্দোলন হয় না। আন্দোলন করতে চাইলে রাস্তায় থাকতে হয়। বনধ করে আন্দোলন হয় না।’’ তারপরেই যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী সেখানে সেই দলের আন্দোলন করার কথা জানিয়ে তিনি এ রাজ্যে আন্দোলনের মূল রাশ নিজের হাতে টেনে রাখার অবস্থান স্পষ্ট করেন।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলা বনধ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর পর্যন্ত গত কয়েকদিন বাম ও কংগ্রেসের প্রতিবাদ যেভাবে সামনে এসেছে মমতার এদিনের ঘোষণা কার্যত তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কৌশল। নাগরিকত্ব-আন্দোলন কেন্দ্র করে বিজেপি-বিরোধী ভোট ভাগাভাগির সুযোগ না দিতেই তিনি এককভাবে আন্দোলন করার কথা জানিয়ে দিলেন। বামেদের নাম করে তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের তো দিল্লিতে পার্টি অফিস রয়েছে। সেখানে মিছিল করুক না।’’ মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২২-২৩ জানুয়ারি দার্জিলিংয়ে সিএএ-এনপিআর-এনআরসি’ বিরুদ্ধে মিছিল করবেন মন। তারপর অন্য জেলায়ও পদযাত্রাও করবেন বলে জানিয়েছেন মমতা।

Advertisement

আরও পড়ুন: ঘুমের আড়ালে ‘বাংলাদেশ’ গিলতে আসছে তাঁকে

মোদী ও মমতার শনিবারের একান্ত বৈঠককে সিপিএম ও কংগ্রেস বিজেপি-তৃণমূলের আঁতাত বলে প্রচারে এনেছে। তার পাল্টা হিসেবে এদিন মমতা বলেন, ‘‘সিপিএমের সঙ্গে বিজেপির কোনও পার্থক্য নেই। দুটো সরকারই গুলি চালিয়ে মানুষ মেরেছে।’’

প্রতিক্রিয়ায় সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেও জানেন, তিনি ফাটা ডিমে তা দিচ্ছেন। মোদী-শাহের সঙ্গে সেটিং করে তাঁর ঘনিষ্ঠ অফিসারকে হয়ত বাঁচাতে পারেন, বাংলাকে বাঁচাতে পারবেন না। নতুন প্রজন্মের প্রতিরোধকে তিনি অসম্মান করছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement