আইপ্যাক কর্মীদের ছাড়িয়ে আনতে দলের নেতাদের ত্রিপুরা পাঠাচ্ছেন মমতা।
বিপ্লব দেবের পুলিশের হাতে ‘বন্দি’ আইপ্যাকের কর্মীদের উদ্ধার করতে দলের তিন নেতাকে ত্রিপুরা পাঠাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালেই আগরতলার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা দলের তিন নেতা ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, বুধবার সকাল ৯টা ২০ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রওনা দেবেন তাঁরা। আগরতলা পৌঁছে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের ২৩ জন কর্মীকে মুক্ত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তাঁদের।
কোভিডের কারণ দেখিয়ে আইপ্যাকের ২৩ কর্মীকে রবিবার রাত থেকে আগরতলার একটি হোটেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। সোমবার এমন অভিযোগই করে আইপ্যাক। তৃণমূলের হয়ে সমীক্ষা করতে গিয়েছেন বলেই তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওই সংস্থার। তৃণমূলের দাবি, বাংলায় বিধানসভা ভোটের ফল দেখে ভয় পেয়েছে বিজেপি। তাই তাদের আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আগরতলা পুলিশ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে রাজ্যে এসেছেন ওই ২৩ জন। কোভিড পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। যদিও আইপ্যাকের অভিযোগ, মঙ্গলবার করোনা পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পরেও কর্মীদের হোটেল থেকে বেরোতে দেওয়া হয়নি।
এ সব নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই এ বার আইপ্যাক কর্মীদের ছাড়াতে উদ্যোগী হল তৃণমূল। মমতার সঙ্গে দিল্লি সফরে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নেটমাধ্যমে বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করেছেন তিনিও।
ত্রিপুরা তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, এর আগে পুলিশ নামিয়ে ‘শহিদ দিবস’-এর কর্মসূচিও বানচাল করে দেওয়ার চেষ্টা করে বিপ্লব দেবের সরকারের পুলিশ। তাঁদের দাবি, ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় তৃণমূল ‘খুঁটি পোঁতা’র চেষ্টা করাতেই, তা ঠেকাতে নেমেছে বিজেপি। সে কারণেই তৃণমূলের হয়ে সমীক্ষা করতে আসা আইপ্যাক কর্মীদের আটক করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ।