Mamata Banerjee

ধর্ম-তর্ক: বিজেপিকে পাল্টা জবাব মমতার

ধর্ম নিয়ে চলতি সংঘাতে গত সপ্তাহে বিজেপির জবাব দিতে বিধানসভাকেই বেছে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সংখ্যালঘু বিধায়কদের উদ্দেশে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘হুমকি’র জবাব দিতে আচমকাই অধিবেশনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫ ০৯:২৯
Share:
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

ধর্ম নিয়ে তরজায় বিজেপিকে ‘ভোটের কোর্ট’ই দেখালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ‘হিন্দু-হিন্দু ভাই ভাই’ বলে ভোট চেয়ে দেওয়াল লেখা শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে বুধবার বিজেপির উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বললেন, “মানুষ তৈরি হচ্ছে আপনাদের যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য!” সেই সঙ্গেই রাজ্যে প্রধান প্রতিপক্ষের প্রতি মমতার কটাক্ষ, “হিন্দু-সিন্ধু ভাই ভাই করছেন! আমদানি করা এই ধর্মে আমরা বিশ্বাস করি না।”

ধর্ম নিয়ে চলতি সংঘাতে গত সপ্তাহে বিজেপির জবাব দিতে বিধানসভাকেই বেছে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সংখ্যালঘু বিধায়কদের উদ্দেশে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘হুমকি’র জবাব দিতে আচমকাই অধিবেশনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। তিনিও যে ব্রাহ্মণ সন্তান, ভাষণে তা-ও জানিয়ে গিয়েছিলেন জোর গলায়। বিধানসভাতেই এ দিন স্বাস্থ্য দফতরের বাজেট বিতর্কে অংশ নিয়ে সেই সুর খানিকটা বদল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

এ দিন বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্ম নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ করে মমতা বলেছেন, "কিসের ধর্ম? একটা ভাষ্য (ন্যারেটিভ) তৈরির চেষ্টা করছে। মানুষকে খুন করে ধর্ম করতে হবে?” সেই সঙ্গেই তাঁর আরও মন্তব্য, “মানবিকতা কোনও ধর্ম দেখে না।” বিজেপির তোলা অভিযোগের জবাব দিয়ে তিনি বলেন, “আমার কোনও রাজনৈতিক দলের মেডেল (শংসাপত্র) চাই না। মানুষের ভালবাসা চাই।”

রাজ্য সম্পর্কে বিরোধীদের তোলা অভিযোগগুলিও উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মেয়েটি বিচার পান, আমরাও চাই। কিন্তু মহারাষ্ট্র বা অন্য রাজ্যের সঙ্গে তুলনা করে বাংলাকে ছোট করবেন না। নিজেকে অসম্মান করে অন্যকে সম্মান করবেন না।”

মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, “যাঁরা বলে বেড়াচ্ছ হিন্দু-সিন্ধু, প্রতিবেশী রাজ্য থেকে এ রাজ্যে মানুষ চিকিৎসা করাতে এলে তাঁরা কি কোনও রকম সাহায্য করেন? একটা টাকাও সাহায্য দেন?”

বিজেপিও অবশ্য হিন্দুত্বের প্রশ্নে মমতার সরকারকে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। বিধানসভার ভিতরে কাগজ ছুড়ে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) হওয়া বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ চার বিজেপি বিধায়কের শাস্তির মেয়াদ ফুরিয়েছে। তবে বিজেপির আর এক বিধায়ক দীপক বর্মণ নিলম্বিত থাকার প্রতিবাদে অধিবেশনে ঢুকছেন না শুভেন্দু। সেই ২০১১ সালের পর থেকে যাঁদের দল বদল করানো হয়েছে, দলত্যাগ-বিরোধী আইনে তাঁদের কারও বিধায়ক-পদ খারিজ হয়নি এবং তৃণমূলের দুই বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার ও সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথে আইন না-মানার অভিযোগের প্রসঙ্গ এনে নতুন করে স্পিকারকে নিশানা করেছেন তিনি। শুভেন্দুর মন্তব্য, “বড় আইনি লড়াই চলবে। এর ফল আপনাকে ভুগতে হবে!”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement