মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
বীরভূমে ১০০ দিনের কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ জন্য মৃদু ধমক খেলেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, গরিব মানুষের স্বার্থ দেখতে ১০০ দিনের কাজের গতি যে ভাবেই হোক বাড়াতে হবে। জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী ছাড়াও প্রায় প্রত্যেক বিডিওকে এই নির্দেশও দেন।
সোমবার বোলপুরে গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসককে বলেন, ‘‘তোমরা প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব, খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রী, এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে ভাল কাজ করেছ। কিন্তু ১০০ দিনের কাজে এত পিছিয়ে কেন?’’ জেলাশাসক বলার চেষ্টা করেন, ‘‘ম্যাডাম গত বছর...’’। তাঁকে থামিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘থাক্, গত বারের হিসেব দিতে হবে না। এ বার কত দিন কাজ হয়েছে?’’ এরপর ময়ূরেশ্বর, লাভপুর, সিউড়ি, দুবরাজপুর-সহ প্রায় প্রতিটি ব্লকের বিডিও’র কাছে কাজের খতিয়ান চান। জানতে পারেন ব্লকগুলিতে গড়ে ১৫-২০ দিন করে কাজ হয়েছে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী পুজোর মধ্যে গড়ে ৫০-৬০ দিনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেন। সেচখাল সংস্কার না হওয়া নিয়েও উদ্বেগ জানান মুখ্যমন্ত্রী। ৫৫৫ একর সেচ খাল ভরাট হয়েছে, সভায় উপস্থিত জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কাছে এমন অভিযোগ শোনামাত্রই তিনি জানতে চান কেন এমন হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সেচখাল ভারাট হলে বন্যার আশঙ্কা থাকে। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নবীন প্রকাশকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, ‘‘এটা গুরুতর বিষয়। আপনি একটা সমাধান সূত্রে বের করে তবে ফিরবেন।’’
জেলার কিসান মান্ডিগুলিকে যথাযথ ভাবে ব্যবহার করার নির্দেশ দেন জেলাশাসককে। প্রশাসনের কাছে থেকেই জানতে পারেন জেলার মোট ১৩টি মান্ডির মধ্যে মাত্র চারটি পুরোপুরি কাজে লাগছে। বাকিগুলি আংশিক ব্যবহার হচ্ছে।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কাছের সব্জি বাজারকে অবশ্যই মান্ডিতে নিয়ে আসতে হবে।’’
প্রকল্প সংক্রান্ত সুলুক সন্ধান পেতে প্রতিটি মান্ডিতে ইনফরমেশন সেন্টার বানানোর কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।