(বাঁ দিকে) সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
লোকসভায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দলের নেতা মনোনীত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সিদ্ধান্ত হল শনিবার তৃণমূলের বৈঠকে। সংসদের দুই কক্ষের দলীয় কমিটির চেয়ারপার্সন থাকছেন মমতা নিজেই। লোকসভায় দলীয় কমিটি অপরিবর্তিত রাখলেও রাজ্যসভায় দলের উপনেতা ও সচেতক পদে বদল করেছে তৃণমূল।
কালীঘাটের বাড়িতে এ দিন দলের সাংসদ ও জেলা সভাপতিদের নিয়ে লোকসভা ভোট পর্যালোচনায় বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানেই সুদীপকে লোকসভায় দলের নেতা বেছে নেন তিনি। এই সিদ্ধান্তকে দলের ভিতরে বার্তা হিসেবে দেখছেন তৃণমূলের একাংশ। তাঁদের মতে, ভোটের আগে দলের অন্দরে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বে সুদীপ-সহ আরও দু’তিন জনকে মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে টানাপড়েন হয়েছিল। বয়স ও কর্মক্ষমতা বিচার করে এই প্রশ্নে নবীনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা আবার নতুন মুখের পাশাপাশি প্রবীণদেরও প্রার্থী করেন। ভোটের পরে সেই সুদীপকেই ফের দলনেতা বেছে নিয়ে নবীনদের উদ্দেশে দলনেত্রী সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছেন বলেই মনে করছে দলের একাংশ।
সুদীপের নির্বাচন নিয়েও এ বার তৃণমূলে ব্যাপক আলোড়ন চলেছে। দলের একাংশের ভূমিকা নিয়ে সংশয় তৈরি হওয়ায় এই কেন্দ্রে বাড়তি কর্মসূচি নিতে হয়েছিল তৃণমূল নেত্রীকে। লোকসভায় দলের উপনেতা পদে অবশ্য বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার ও সচেতক পদে ফের মনোনীত হয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে এ বার রাজ্যসভায় কিছু বদল করেছেন মমতা। দলনেতা পদে ডেরেক ও’ব্রায়েনকে রাখা হলেও, উপনেতা করা হয়েছে নতুন সাংসদ সাগরিকা ঘোষকে। সচেতক পদে সুখেন্দু শেখর রায়ের জায়গায় এসেছেন নাদিমুল হক।