আট মাস পর একান্ত বৈঠক করলেন মোদী-মমতা

প্রায় আট মাস পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্প খাতে বকেয়া অর্থ এবং রাজ্যের মাথায় চেপে বসা ঋণের সুদে ছাড়ের দাবি নিয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:১৮
Share:

মোদীর কাছে মমতা। সোমবার। ছবি: পিটিআই

প্রায় আট মাস পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্প খাতে বকেয়া অর্থ এবং রাজ্যের মাথায় চেপে বসা ঋণের সুদে ছাড়ের দাবি নিয়ে।

Advertisement

আজ সকালে সাউথ ব্লকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রীই জানান, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মূলত ওই দু’টি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যের আয় ৪০ হাজার কোটি টাকা। অথচ আগামী বছর কেন্দ্রীয় ঋণের উপর স্রেফ সুদই দিতে হবে ৪৭ হাজার কোটি টাকা।’’ ওই সুদের উপর সাময়িক স্থগিতাদেশ এবং ঋণের সার্বিক পুনর্বিন্যাসের দাবি জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, প্রকল্প খাতে কেন্দ্রের থেকে ১০ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। ওই টাকা যেন দ্রুত রাজ্যকে দেওয়া হয়।’’ প্রকল্প বাবদ বকেয়া টাকার একটি তালিকাও সংবাদমাধ্যমকে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে রাজ্যের তরফে এই দাবির কথা রাজ্যসভায় উত্থাপন করেন তৃণমূল সাংসদ নাদিমুল হক।

কী জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী? মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী সব কিছু খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে সংশয়ী মমতা এ-ও বলেন, ‘‘এই আশ্বাস অবশ্য আগেও শুনেছি। কিন্তু হাতে পাইনি কিছুই।’’

Advertisement

তবে মমতার ‘না পাওয়ার’ তত্ত্ব খারিজ করেছে কেন্দ্র। যেমন বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে বকেয়া রয়েছে ১৫৪৬ কোটি টাকা। কিন্তু কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের যুগ্মসচিব অপরাজিতা সারেঙ্গি
বলেন, ‘‘এই পরিসংখ্যান রাজ্য কোথা থেকে পেয়েছে জানি না। ৩১ মার্চ একশো দিনের প্রকল্পের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আজ দেওয়া হচ্ছে ২৮১০ কোটি টাকা।’’ মমতার বক্তব্য খারিজ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতির কথা বলেছেন। আমি প্রশাসনিক জবাব দিয়েছি।’’

যদিও কেন্দ্রের পাল্টা দাবির প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রত্যেকটি তথ্য অর্থ দফতরের সঙ্গে কথা বলে তার পর দিল্লিকে জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। কাজেই আমার আর এই মুহূর্তে কিছু বলার নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement