মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
শুক্রবার দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক রয়েছে শনিবার। তার আগে মমতার রাজধানী সফর নিয়ে জল্পনা, তিনি কি ‘বিরোধী ঐক্য’ উপেক্ষা করেই নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন?
গত মঙ্গলবারই দিল্লি সফরের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার তাঁর দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে তা হয়ে ওঠেনি। এর পর শুক্রবার নবান্ন সূত্রে খবর মেলে, দুপুর ১টায় বিশেষ বিমানে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। দিল্লিতে তাঁর বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক। গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ২৯টি আসনে জিতেছে তৃণমূল। ২৯ জন সাংসদের মধ্যে বেশ কয়েক জন নতুন মুখ রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গেও কথা বলতে চান মমতা। তবে শুধু লোকসভার সাংসদেরাই নন, রাজ্যসভার সাংসদেরাও সেখানে থাকতে পারেন। এর পর চাণক্যপুরীতে বঙ্গভবনে জাতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে চা-চক্রে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
কিন্তু যত জল্পনা নীতি আয়োগের বৈঠক ঘিরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে শনিবার ওই বৈঠক হবে। নীতি আয়োগের ওই বৈঠক নিয়ে বিরোধী শিবিরে খানিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ, কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ওই বৈঠক বয়কট করছেন। শোনা গিয়েছে, বৈঠকে যোগ দেবেন না তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ড ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীরাও। এই পরিস্থিতিতে মমতার দিকেই সকলে তাকিয়ে। যদিও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
নীতি আয়োগের বৈঠকে বিরোধী শিবির ‘ইন্ডিয়া’র মোট সাত জন মুখ্যমন্ত্রী যোগ দিচ্ছেন না বলেই শোনা গিয়েছে। মমতাও এক জন বিরোধী শিবিরের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এখনও বৈঠক বয়কট না করায় মোদী সরকারের একাংশ তাকে ‘স্বাগত’ জানিয়েছিল। কিন্তু অনেকের মতে, মমতা শেষ পর্যন্ত ওই বৈঠকে যোগ না-ও দিতে পারেন। কারণ, তাতে বিরোধী শিবিরের ‘ঐক্য’ বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তবে একই সঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’র অভ্যন্তরে কংগ্রেসের ‘একতরফা’ ভাবে নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েও খানিক অনুযোগ এবং অসন্তোষ রয়েছে বলেও তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি।