আজ ফের পথে মমতা। ছবি: তৃণমূলের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সংগৃহীত।
প্রাণ থাকতে বাংলায় জাতীয় নাগরিক পঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তিনি কার্যকর হতে দেবেন না, ফের এক বার জানিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দ্বিতীয় বারের জন্য পথে নেমেছিলেন তিনি। দুপুর ১টা নাগাদ যাদবপুরের ৮-বি বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল করে ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজার পর্যন্ত যান। হাজার হাজার মানুষের সামনে সেখানেই এমন বার্তা দেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজকের মিছিলে শামিল হয়েছিলেন তৃণমূলের দুই তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহানও। মিছিল শুরুর আগে তাঁদের পাশে নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জির বিরুদ্ধে যে সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন হচ্ছে, সেগুলিকে সহমর্মিতা জানাই। আমরা বাংলায় এনআরসি হতে দেব না। বাংলা ছেড়ে যেতে দেব না কাউকে।’’
সংশোধিত নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা করে মমতা আসলে সংবিধান বিরোধী আচরণ করছেন বলে গতকালই তোপ দেগেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ‘‘বিজেপি ভাবছে দেশ দখল করে নিয়েছি। সংখ্যার জোরে আইন পাশ করানো যায়। কিন্তু মানুষের সমর্থন না পেলে তা কার্যকরী হয় না। সংবিধান মেনে নাগরিকত্ব আইন হয়নি। কবে বিল পাশ হবে, আগে জানানো হয়নি। না জানায় অনেক সাংসদ পৌঁছতে পারেননি’’
এই সংশোধিত নাগরিকত্ব আই নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে নৈরাজ্য চলেছে গোট রাজ্যে। তা নিয়ে সম্প্রতি বিক্ষোভকারীদের কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘‘পোশাক দেখলেই বোঝা যায়, কারা বিক্ষোভ করছে।’’ এ দিন তাঁর সেই মন্তব্যেরও তীব্র সমালোচনা করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘পোশাক দেখে কি আন্দোলনকারীকে চেনা যায়? পোশাক দেখে মানুষ চেনা যায় আগে কখনও ভাবিইনি।’’
• জাতীয় নাগরিক পঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব িবলের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চালিয়ে যান। কিন্তু রাস্তা আটকাবেন না। হিংসা ছড়াবেন না।
• অসমে প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষকে বাদ দিয়েছে। ১০০ জন আত্মহত্যা করেছে। বাংলায় আত্মঘাতী হয়েছেন ৩০ জন। এই সব মৃত্যুর দায় কে নেবে?
• ভোটে জিতে যা ইচ্ছে তাই করছে বিজেপি।
• ১০ হাজার মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার নামে ৯ লক্ষ ৯০ হাজার মানুষকে তাড়ানোর পরিকল্পনা।
• ওদের ভাষায় আমরা দেশের নাগরিক নই। বাইরে থেকে যাঁরা আসবেন, পাঁচ বছর থাকবেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেবেন। তাহলে আমরা কোথায় যাব?
• নির্বাচনের সময় বলেছিল সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, এটাই কি সবকা সাথ?
• নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এসছে বলে গায়ের জোরে যা ইচ্ছা করছে একটা দল। এটা মেনে নেওযা যায় না। আমাকে আপনারা দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি কি বলতে পারি বাংলায় যত সরকারি সম্পত্তি রয়েছে সব আমার?
• দেশের গণতন্ত্র বিপর্যস্ত। গণতন্ত্রের কাঠামো ভেঙে ফেলা হয়েছে। নাগরিকদের কথায় কান দিচ্ছে না সরকার। তাই আন্দোলন করে যেতে হবে।
• মিছিল পৌঁছল যদুবাবুর বাজারে।
• মিছিল রাসবিহারি পৌঁছল।
• ট্রায়াঙ্গুলার পার্ক ছাড়াল মিছিল।
• গড়িয়াহাট মোড় পৌঁছল মিছিল।
• মিছিল গোলপার্ক পৌঁছল।
• মিছিলে রয়েছেন পরিচালক গৌতম ঘোষ ও অভিনেতা সোহম।
• মিছিল ঢাকুরিয়া পৌঁছল ।
• দলে দলে মিছিলে যোগ দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
• রেলের সম্পত্তি রেলকেই রক্ষা করতে হবে। তা সত্ত্বেও ওদের সাহায্য করেছি।
• দু’একটা ঘটনা ঘটেছে, তাতেই ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে।
• দেশ বিভাজন, বাংলা বিভাজন চলবে না। কাউকে বাংলা ছেড়ে যেতে দেব না।
• বাংলায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন হবে না। এখানে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি করতে দেব না।
• নোটবাতিলে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ। উত্তরপ্রদেশে ভোটে জিততেই নোটবাতিল করে বিজেপি।
• পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকায় পৌঁছেছে, আলু-পেঁয়াজ জ্বলছে, দেশ জ্বলছে।
• অসম-ত্রিপুরা সর্বত্র আন্দোলন হচ্ছে।
• কবে আইন পাশ হবে, তা আগে জানানো হয়নি। তাই সাংসদদের অনেকে হাজির থাকতে পারেননি।
• সংখ্যার জোরে আইন পাশ করানো যায়, মানুষের সমর্থন না পেলে তা কার্যকরী হয় না।