Mamata Banerjee

Mamata Banerjee: সরকারি সাফল্যের প্রচার হবে এক মাস

৫ মে- ৫ জুন পর্যন্ত গত ১১ বছরে সরকারের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপগুলির প্রচার হবে। ব্লক থেকে জেলাস্তর পর্যন্ত চলবে এই প্রচার। পুরসভা স্তরেও সব দফতরের কাজ নিয়ে মানুষকে জানানো হবে পৃথক ভাবে।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২২ ০৬:০৭
Share:

ফাইল চিত্র

তৃতীয় তৃণমূল সরকারের এক বছর পূর্ণ হবে ৫ মে। সেই দিন থেকে পরবর্তী এক মাস রাজ্য জুড়ে সরকারি সাফল্যের প্রচার চালানোর পরিকল্পনা করছে নবান্নের শীর্ষ মহল। এ বার ক্ষমতায় ফিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অগ্রাধিকারে ছিল শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান। সেই লক্ষ্যে, রাজ্যের সদ্যসমাপ্ত শিল্প সম্মেলনকে (বিজিবিএস) ‘চোখ ধাঁধানো’ সাফল্য বলে তাঁর দাবি। সঙ্গে সামাজিক ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সাফল্যের দাবিও করে সরকার। এই সব কিছুই হতে পারে ওই প্রচারের অঙ্গ।

Advertisement

সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত যা পরিকল্পনা তাতে, ৫ মে- ৫ জুন পর্যন্ত গত ১১ বছরে সরকারের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপগুলির প্রচার হবে। ব্লক থেকে জেলাস্তর পর্যন্ত চলবে এই প্রচার। পুরসভা স্তরেও সব দফতরের কাজ নিয়ে মানুষকে জানানো হবে পৃথক ভাবে। সরকারি সূত্রের খবর, গত ১১ বছরে রাজ্যে অনেকগুলি সামাজিক প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, নতুন রূপে কৃষকবন্ধু, পড়ুয়া ঋণ-কার্ড, সবুজসাথীর মতো সব সামাজিক প্রকল্পের বাস্তব ছবি জানানো হবে। এক-একটি প্রকল্পের প্রচারের দায়িত্বে থাকতে পারে এক-একটি দফতর। আগামী সপ্তাহে এ নিয়ে সরকারের শীর্ষ মহলে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেই পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত রূপ পেতে পারে।

একই সঙ্গে শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থানের যে লক্ষ্য সরকারের রয়েছে, তাতে ঠিক কী ধরনের পদক্ষেপ হচ্ছে ও তার কার্যকারিতাও তুলে ধরার পরিকল্পনা রয়েছে ওই প্রচারপর্বে। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সরকারি পদক্ষেপগুলিও স্পষ্ট করার ভাবনা রয়েছে সরকারের শীর্ষ মহলের। প্রসঙ্গত, শিল্প সম্মেলনের মঞ্চেই মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, প্রায় ৯৫% মানুষ নানা ভাবে সরকারি পরিষেবায় উপকৃত হয়েছেন। সেই ছবিটাই তুলে ধরা হবে বলে প্রশাসনিক মহলের অনেকের অনুমান।

Advertisement

প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের ব্যাখ্যা, চলতি সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের নানা ঘটনা বিরোধীদের সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। এমনকি, শিল্প সম্মেলন চলাকালীনই তাঁদের সেই সমালোচনা আরও ধারালো হয়েছিল। ফলে সরকারের অনেকেই মনে করছেন, সেই সব সমালোচনায় সরকারের ইতিবাচক কাজগুলি ধাক্কা খাচ্ছে। মানুষের কাছে তাই সেগুলি তুলে ধরতে চাওয়া হচ্ছে।

শনিবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বিজিবিএস-এর ‘সাফল্য’ তুলে ধরে বিভিন্ন দফতরের কর্তাদের ধন্যবাদ জানান। মুখ্যমন্ত্রীর ধন্যবাদ-বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয় তাঁদের কাছে। সূত্রের খবর, সম্মেলনে যে বিনিয়োগ-প্রস্তাব এসেছে, তা কার্যকর করতে এখন থেকেই নেমে পড়ার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যসচিব। সরকার চাইছে, পরবর্তী বিজিবিএস পর্যন্ত কাজের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখুক সব দফতর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement