Skill development city

লক্ষ্য বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান, রাজারহাটে ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট সিটি’ গড়বে রাজ্য সরকার

মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজ্য মন্ত্রিসভা রাজারহাটে একটি ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট সিটি’ গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন এই প্রশিক্ষণ শহরটি গড়ার জন্য জমিও বরাদ্দ করা হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৩ ১৩:০৪
Share:

মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজ্য মন্ত্রিসভা রাজারহাটে একটি ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট সিটি’ বা প্রশিক্ষণ শহর গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। — ফাইল চিত্র।

রাজ্যের শিল্প এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে এবং বেশি সংখ্যায় কর্মসংস্থান করতে এ বার বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজ্য মন্ত্রিসভা রাজারহাটে একটি ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট সিটি’ বা প্রশিক্ষণ শহর গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন এই প্রশিক্ষণ শহরটি গড়ার জন্য জমিও বরাদ্দ করা হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এই প্রশিক্ষণ শহরটি গড়ে উঠলে বহু বেসরকারি নামজাদা সংস্থা হাতেকলমে কাজ শেখাবে। এই প্রশিক্ষণ শিবির থেকেই নিজেদের পছন্দের কর্মী নিয়োগে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বেসরকারি সংস্থাগুলি। মূলত বেসরকারি ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মী তৈরির বিষয়ে উৎসাহ দিতেই রাজ্য সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নতুন এই প্রশিক্ষণ শহরটি গড়ার জন্য রাজারহাটে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে ৭২.৩৩ একর জমি বরাদ্দ করেছে। মঙ্গলবারের রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে জমি দেওয়ার বিষয়ে ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তাই মনে করা হচ্ছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট সিটি’ তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। চলতি বছর নভেম্বর মাসে রাজারহাট নিউ টাউনে বসবে বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনের আসর। সেই সম্মেলনেও বণিকমহলের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে এই প্রশিক্ষণ শহরটি। প্রশিক্ষণ শহরটির জন্য বরাদ্দ জমি থেকে নামজাদা সংস্থাগুলিকে জমি দেওয়া হবে। সেখানেই তারা নিজেদের মতো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে দক্ষ কর্মচারী তৈরি করতে পারবে বলেই মত রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের। এই সিটিতে তথ্যপ্রযুক্তি-সহ বিভিন্ন রকমের প্রযুক্তিগত কাজ শেখানোর বন্দোবস্ত করবে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা।

মন্ত্রী শোভনদেব বলেন, “সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এই নতুন স্কিল ডেভেলপমেন্ট সিটি তৈরি করতে চাইছেন। এখানে যেমন কাজ শেখার সুযোগ থাকবে, তেমনই থাকবে ক্যাম্পাসিংয়ের সুযোগ। প্রশিক্ষণের পর কর্মীরাও যাতে উপযুক্ত কাজ পান এই ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমেই তা-ও নির্ধারিত হয়ে যাবে।” মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র খড়দহতে এই ধরনের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। যেখানে কাজ শিখে দক্ষ কর্মী হওয়ার সুযোগ থাকছে যুবক-যুবতীদের কাছে। আর ভাল কাজ শিখতে পারলে যুবক-যুবতীরা সহজেই ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে কাজ পেয়ে যাবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement