Mamata Banerjee

Mamata banerjee: এত বড় ভুঁড়ি কেন আপনার? ১২৫ কেজির পুরপ্রধানকে সটান প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতার

কী ভাবে ভুঁড়ি কমবে তার পরামর্শও দিলেন। ভুঁড়ি কমাতে গেলে কী খেতে হবে তাও বলে দিলে মুখ্যমন্ত্রী। কপালভাতিও করালেন পুরপ্রধানকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২২ ১৯:২৩
Share:

পুরুলিয়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে অন্য মেজাজে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নিজস্ব চিত্র

শুক্রবার পুরুলিয়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে অন্য মেজাজে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ অগ্রবালকে বলে দিলেন কী ভাবে ভুঁড়ি কমাতে হবে। প্রাণায়ামের পাঠও দিলেন তাঁকে।

Advertisement

মমতা: আপনার ভুঁড়ি যে ভাবে বাড়ছে এ তো আপনি যে কোনও দিন ব্লক করে যাবেন।

সুরেশ: ব্লক হবে না দিদি।

Advertisement

মমতা: হাঁটা চলা করছেন?

সুরেশ: আমার সুগার-প্রেশার নেই।

মমতা: আপনা লিভারের প্রবলেম আছে।

সুরেশ: কিছুই নেই।

মমতা: নিশ্চয়ই কিছু তো আছে না হলে এতো বড় মধ্যপ্রদেশ কী করে হল।

সুরেশ: আমি এখনও পর্যন্ত কোনও ওষুধ খাই না।

মমতা: হাঁটাহাঁটি করেন?

সুরেশ: হাঁটাহাটি করি। রোজ ব্যায়াম করি এক ঘণ্টা। কিন্তু তেলের জিনিস বেশি খাওয়া হয়ে যায়।

মমতা: তেলের জিনিস বেশি খান।

সুরেশ: সকালে পকোড়া খাবই খাব!

মমতা: কী খাবেন সকালে?

সুরেশ: পকোড়া

মমতা: কেন পকোড়া খাবেন কেন?

সুরেশ: অভ্যাস হয়ে আছে ছোট থেকে।

মমতা: ও খেলে কোন দিন কমবে না এটা।

সুরেশ: কিন্তু রোজ দেড় ঘণ্টা ব্যায়াম করি ম্যাডাম!

মমতা: কী কী ব্যায়াম করেন একটু দেখান তো আমায়।

সুরেশ নাক চেপে ধরে নিশ্বাসের ব্যায়াম দেখান। হেসে ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী

মমতা: আপনি তো প্রাণায়ম দেখাচ্ছেন। প্রাণায়ামে তো আপনার ভুঁড়ি কমবে না। প্রাণায়াম কী কী করেন?

সুরেশ: সবগুলো প্রত্যেক দিন করি দেড় ঘণ্টা ধরে।

ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান কপালভাতি দেখাতে থাকেন।

মমতা: ও তো কপালভাতি। কত বার করেন।

সুরেশ: এক হাজার বার।

মমতা: এক হাজার বার! হতে পারে না। আপনি আমার কাছে এখানে করে দেখাতে পারেন আমি দশ হাজার টাকা দেব। স্টেজে এসে করুন এক হাজার বার।

সুরেশ: এ তো সকালে করতে হয়, নয়তো ৫টার পরে। ৫টার পরে করে দেখিয়ে দেব ম্যাডাম।

মমতা : কিছুতেই পারবেন না। আপনি এক হাজার বার করলে আপনার ভুঁড়ি এই অবস্থায় থাকত না।

মমতা: আপনি শ্বাস-নিশ্বাস টানেন না, শুধু ভুঁড়ি নাচান। কোনখান দিয়ে নিশ্বাস ছাড়তে হয়, কোনখান দিয়ে নিতে হয় সেটা আপনি জানেন না। কপালভাতি আমিও কিন্তু করি।

সুরেশ: সে তো আপনি ২৪ কিলোমিটার হাঁটেনও।

মমতা : আমি কী করি সেটা আপনার দেখার দরকার নেই। নিশ্বাস কোথা দিয়ে নেন, ছাড়েন কোথা দিয়ে?

সুরেশ: নাক দিয়ে।

মমতা: আসলে গলদ। উল্টো হচ্ছে। আরে! সিস্টেমটা তো জানবেন। কিছু অ্যারোবিক্স করুন। ওজন কত?

সুরেশ: ১২৫ কেজি।

মমতা: ১২৫! এখানে কত জনের একশ পঁচিশ কেজি ওজন? বরঞ্চ ব্যায়াম বন্ধ করে আপনি পকোড়া খাওয়া কমান ভুঁড়ি কমে যাবে। আপনি একমাস সেদ্ধ ভাত খান। রাত সাতটার মধ্যে খেয়ে নেবেন। রাতে খান ক’টায়?

সুরেশ: দশ’টা হয়।

মমতা: তা হলে পরের দিন সকাল ১০টার আগে কিছু খাবেন না। ১২ ঘণ্টা খাবেন না। ভাত খাওয়ার পর প্রতিদিন এক কিলোমিটার হাঁটবেন। আমি নজর রাখব। দেখব আপনি মানছেন কি না।

সুরেশ: দিদি ভাইকে বলেছে মানতেই হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement