ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিশনে ভোট দিয়ে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
মাত্র তিন মিনিট সময়! আর সেই তিন মিনিটেই ভোট শেষ করে দিলেন মমতা। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বসেই ভবানীপুর উপনির্বাচনের ওপর নজর রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুর বিধানসভার অধীন আটটি ওয়ার্ডে দলের বরিষ্ঠ নেতাদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, তাঁদের থেকে ব্যবধান বাড়ানোর এই লড়াইয়ে যথেষ্ট ইতিবাচক বার্তাই পেয়েছেন তিনি। তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছিল, দুপুরেই ভোট দিতে যাবেন নেত্রী। সেই ঘোষণামতোই ভোটপর্বের পড়ন্ত বিকেলে মিত্র ইন্সটিটিশনে তিনটে ১৩ মিনিট নাগাদ ভোট দিতে আসেন তৃণমূল প্রার্থী।
ভোটদানের ক্ষেত্রে মাত্র তিন মিনিট ব্যয় করেন মুখ্যমন্ত্রী। ভোট দিয়ে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই ফের কালীঘাটের বাসভবনেই ফিরে যান। ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয়ী হলে সাংবিধানিক শর্তপূরণ করবেন মমতা। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভোটের জন্য মাত্র তিন মিনিট সময় লাগে তাঁর। তিনটে ১৩ মিনিটে ভোট দিতে এসে, তিনটে ১৬ মিনিটে ভোটকেন্দ্র ছেড়ে বেরিয় যান মমতা।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ৫ মে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয়বার শপথ নেন তিনি। তাই ৫ নভেম্বরের মধ্যে তাঁকে বিধানসভার সদস্য হয়ে সাংবিধানিক শর্ত পূরণ করতে হত। ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ২১ মে পদত্যাগ করেন। সেই আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন মমতা। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব দাবি করেছেন, ‘‘ভবানীপুর থেকে জিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসছেন। এই উপনির্বাচনেও সেই ধারা অব্যাহত থাকবেন। আর জয়ের ব্যবধানে তিনি নিজের রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবেন।’’