তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দল-মত-রং দেখেন না বলে দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসংযোগ যাত্রার তৃতীয় দিনে, বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে তিনটি জনসভা করেন অভিষেক। আলিপুরদুয়ার সদরে নবীন ক্লাবের মাঠে তিনি বলেন: ‘‘বাংলার একটা পরিবার বলতে পারবে না সিপিএম, কংগ্রেস বা বিজেপি করে বলে লক্ষ্মীর ভান্ডার পায়নি।’’ বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে পাল্টা বিঁধেছে বিরোধীরা।
আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল সরকারের উন্নয়ন শুধু বিরোধীরা নন, শাসক দলের বহু পরিবারের কাছেও পৌঁছচ্ছে না। সে জন্যই গ্রামাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায় কত মানুষ আবাস যোজনার ঘর পাননি, কত বাড়িতে শৌচাগার নেই।’’ সিপিএমের আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক কিশোর দাসের কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূল সরকার মুখে যা বলে, কাজে ঠিক তার উল্টোটা করে। এই সরকার উন্নয়নের প্রশ্নে ব্যাপক হারে দলবাজি করে চলছে।’’
কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে অভিষেকের মন্তব্য, ‘‘আমাকে ধমকে-চমকে লাভ হবে না। অনেক ইডি-সিবিআই দেখিয়েছে। বিগত দু’বছর ধরে আপনারা দেখছেন, আমার স্ত্রী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ট্র্যাভেল এজেন্ট, অ্যাডভোকেট কাউকে ছাড়েনি। কিন্তু আমার মেরুদণ্ড সোজা। মাথা কেটে দিলেও ‘জয় বাংলা’ বেরোবে।’’ বিজেপি সাংসদ বার্লার মন্তব্য, ‘‘ইডি-সিবিআই নিয়ে আগেও তৃণমূলের অনেক নেতা বড়-বড় কথা বলেছেন। আজ তাঁরা জেলে। যাঁরা চুরি করেছেন, সবাই জেলে যাবেন।’’
উত্তর দিনাজপুরে কালিয়াগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে আজ, শুক্রবার ১২ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গ বন্ধের আবেদন রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে করেছে বিজেপি। সে প্রেক্ষিতে কি অভিষেকের অনুষ্ঠানসূচিতে কোনও বদল হবে? তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘‘আমাদের কর্মসূচি বানচাল করতেই বিজেপি শুক্রবার বন্ধ ডেকেছে। কিন্তু সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কর্মসূচির কোনও পরিবর্তন হয়েছে বলে জানি না।’’