মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা মুখপাত্র শান্তনু সেন বুধবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘আরজি কর ইস্যুতে কাল পর্যন্ত যা বলার বলেছি। আর কিছু বলব না। মুখপাত্র হিসাবে দলকে ডিফেন্ড করে এসেছি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে রয়েছে আমার বিবেকের তাড়না রয়েছে।’’ ওই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বেহালার কর্মসূচি থেকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কয়েক জন বলছেন, তাঁরা মুখপাত্রের পদ ছেড়ে দিয়েছেন। জেনে রাখুন, আমরা তাঁদের আগেই সরিয়ে দিয়েছি। এই চক্রান্তের মধ্যে তাঁদেরও কেউ কেউ ছিল।’’
মমতা কারও নাম করেননি। তবে তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের বক্তব্য, শান্তনুর উদ্দেশেই ওই কথা বলেছেন মমতা। নেত্রীর ওই বক্তব্য নিয়ে শান্তনুর প্রতিক্রিয়া জানার জন্য আনন্দবাজার অনলাইনের পক্ষে ফোন করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। আরজি করের ‘অব্যস্থা’ নিয়ে শান্তনু এ-ও বলেছিলেন, ‘‘আমি আরজি করের প্রাক্তনী। আমার মেয়ে সেখানে পড়ে। আরজি করে মেডিক্যাল এডুকেশন গত কয়েক বছরে রসাতলে গিয়েছে। কয়েক জনকে খুশি করতে পারলে প্রশ্ন জানা যায়। উত্তর হাতে নিয়ে হলে ঢোকা যায়, টোকাটুকি করা যায়।’’
উল্লেখ্য, আরজি করের অভ্যন্তরে তৃণমূলের গোষ্ঠী বিভাজনের কথা সর্বজনবিদিত। এত দিন অধ্যক্ষের পদে থাকা সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে শান্তনুর সম্পর্ক কেমন, তা-ও মোটামুটি রাজনৈতিক মহলের অজানা নয়। সন্দীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতেই শান্তনুর গোষ্ঠীও ময়দানে নেমেছিল। যদিও শান্তনু প্রকাশ্যে এর আগে কিছু বলেননি। শান্তনুর স্ত্রী কাকলি সেন কলকাতা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বুধবার মহিলাদের রাত দখলের কর্মসূচিতে তিনি এবং তাঁর মেয়ে থাকবেন। যা নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল। শাসকদল সূত্রে খবর, শান্তনুকে আরও বেশ কয়েকটি দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে।